নিজ বাড়িতে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১২:৫০

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ইউপি সদস্য ও তার ভাবি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনা ঘটে শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০)-এর ওপর সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদারের নেতৃত্বে ৪-৫ জন ব্যক্তি অতর্কিত হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শহিদুল ইসলামকে গুরুতর জখম করে।
চিৎকার শুনে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪২) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম (৪৫) এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম ও মুকুল বেগম মারা যান। গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ইউনুসের স্ত্রীর সঙ্গে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা ছিল -এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আহত রেহানা বেগম জানান, রাত ১১টার দিকে ইউনুস ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ঢুকে তার স্বামী ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ইউনুসের সঙ্গে তাদের পুরনো পারিবারিক বিরোধ ছিল। উল্লেখ্য, রেহানা বেগম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, পরকীয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান। তিনি জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।