তিতাসে গৌরীপুর-হোমনা সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১৩:৪৮

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা তিতাসের গৌরীপুর-হোমনা সড়কের প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য মরা গাছ রয়েছে।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া গৌরীপুর-হোমনা সড়কের অর্ধশতাধিক মরা গাছ পাঁচ উপজেলার যাত্রীদের কাছে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের সুরক্ষা ও ছায়া দেওয়া গাছগুলোর নিচ দিয়ে এখন যানবাহন ও পথচারীদের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচেছ। সড়ক ও জনপথের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাস স্টেশন থেকে হোমনা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটারের সড়কের প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক তিতাস অংশে রয়েছে। উক্ত সড়কটি দিয়ে কুমিল্লার তিতাস, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার যাত্রীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। হোমনা থেকে একাধিক বাস সার্ভিস ঢাকা ও কুমিল্লার মধ্যে চলাচল করছে। উক্ত সড়কের দুইপাশে প্রায় ৪৫/৫০ বছর আগে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় হাজার গাছ রয়েছে। এসবের প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ অনেক আগেই মরে গেছে। ডাল-পাতাবিহীন এসব কাজ প্রায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর সীমানা পঞ্চবটি থেকে বাতাকান্দি বাজার পর্যন্ত, গাজীপুর আজিজিয়া মাদ্রাসা থেকে কড়িকান্দি স্টেশন পর্যন্ত, উপজেলা পরিষদের সড়ক থেকে কড়িকান্দি বাজার পর্যন্ত, বন্দরামপুর সবুজবাগ থেকে মৌটুপী পর্যন্ত ও দড়িকান্দি থেকে জিয়ারকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশে অর্ধশতাধিক মরা গাছ রয়েছে। এসব স্থানের মধ্যে কড়িকান্দি বাজার থেকে উপজেলা পরিষদের রাস্তা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মরা গাছ রয়েছে। সরকারি বাধ্যবাধকাত থাকায় এসব গাছ কেউ কাটতে এগিয়ে আসে না।

গৌরীপুর-হোমনা সড়কের সিএনজি চালক মো. ওয়াসিম ও অটোরিক্সা চালক মো. শাহআলম জানান, প্রায় সড়কের মধ্যে মরা ডাল ভেঙ্গে পড়ে। গত কয়েকদিন আগে কড়িকান্দি বাজারের গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় একটি মরা গাছ পড়ে একটি সিএনজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের আতংক নিয়ে গাছগুলোর মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সিএমবির (সওজ) লোকজন এগুলো দেখেও দেখে না।  

জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৯শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের সকলেই গৌরীপুর-হোমনা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিষ্ঠানের পাশের সড়কের উভয় পাশে প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে অসংখ্য মরা গাছ রয়েছে। অনেকটা আতংক নিয়েই আমাদের শিক্ষার্থীরা এপথে যাতায়াত করছে। দ্রুত কাজগুলোর সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  

সড়ক ও জনপথ বিভাগের গৌরীপুর আঞ্চলিক অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া মুঠোফোনে জানান, গৌরীপুর-হোমনা সড়কের তিতাস অংশের দুইপাশে অসংখ্য মৃত গাছ রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলামের মাধ্যমে গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।