ভাতিজিকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, চাচাসহ গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১৬:৩০

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ভাতিজিকে তুলে নিয়ে দুইজনে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচা ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে গতকাল(২৭ জুন) শুক্রবার রাতে ভোক্তভোগী ভাতিজির বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত দায়ের করেন।
রাতেই প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা মো. হুমায়ূন(৩০) ও তার সহযোগী মো. কাউসার মিয়া(২৪)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত চাচা হুমায়ূন উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের প্রয়াত খোকন মিয়ার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া।
ভোক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
গত ২৫ জুন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভোক্তভোগী ভাতিজিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান কাউসার মিয়া। ইজি বাইকটি মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারে পৌঁছতেই চাচা হুমায়ূন একই ইজিবাইকে ওঠে।
পরে ইজিবাইকযোগে ভাতিজিকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর চৌরাস্তা বাজারের (চমকিয়া বাজার) পাশেরদোকানঘরে ঢুকিয়ে চাচা কাউসার ও হুমায়ূন ভাতিজিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একইদিন বিকেলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর অজ্ঞাত একটি ইজিবাইকে তুলে ওই ভাতিজিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,গত শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযাগ পাওয়ার পরপরই তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা হুমায়ূন ও কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।