বাংলাদেশ ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হলেন রাজশাহীর শাওন-রিটন
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১৭:৩৩

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী হাসিবুল আলম শাওন এবং যুবনেতা মো. মাহফুজুর রহমান রিটন।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় ৬৮ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শাওন ও রিটনের নির্বাচিত হওয়ায় রাজশাহী ক্রীড়াঙ্গনে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে।
এর আগে হাসিবুল আলম শাওন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহŸান কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ওই কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজশাহী উপ-পরিচালককে।
নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে প্রতিক্রিয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হাসিবুল আলম শাওন বলেন, “৬৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজশাহী থেকে আমাদের দু’জনের নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত সম্মানের। এই মনোনয়ন রাজশাহী অঞ্চলের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হবে রাজশাহীর প্রতিটি ক্রীড়া সংগঠনকে সাথে নিয়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, নতুন খেলোয়াড় তৈরি এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করা। এক্ষেত্রে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই এগিয়ে যাবো।”
তিনি আরও বলেন, “কমিটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের উপযোগী খেলোয়াড় তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এজন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংগঠনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
অপরদিকে কমিটির সদস্য মো. মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, “এক সময় খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়েছিল রাজশাহী। আমরা সেই অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ কমিটি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করবে।”
তিনি বলেন, “অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সবার সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। অভিভাবকদের প্রতি আহŸান থাকবে, তারা যেন সন্তানদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও আগ্রহী করে তোলেন। এতে করে তারা সামাজিক অপরাধ থেকেও দূরে থাকবে।”
দুজন সদস্যই মনে করেন, এই কমিটির মাধ্যমে রাজশাহী অঞ্চলের খেলাধুলায় নতুন গতি আসবে এবং দীর্ঘদিনের অবহেলিত ক্রীড়াঙ্গনে সৃষ্টি হবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।