সান্তাহার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১৯:১২

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ফেমাস নামের একটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় টফি বেগম (৩২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সান্তাহারে অবস্থিত ফেমাস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত টফি বেগম উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার পৌঁওতা টিকড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বি বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেছেন।
ঘটনার পর থেকে ওই ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে চিকিৎসকসহ কর্তৃপক্ষ তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মৃত টফি বেগমের পরিবার জানান, গত শুক্রবার সকালে অন্ত:সত্বা টফি বেগমের সন্তান প্রসবের জন্য সান্তাাহার ফেমাস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়।
এরপর কয়েক ঘন্টা তাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন ক্লিনিকের দায়িত্বরতরা। সন্ধ্যার পর হঠাৎ ট্রফি বেগমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে নওগাঁ জেলা সদর হাসাপাতালে স্থানান্তর করেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। নওগাঁতে নেওয়ার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান।
মৃত টফি বেগমের প্রতিবেশি মোজাম্মেল হক বলেন, ক্লিনিকের দায়িত্বরতদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়। এদিকের প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তার আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকের সামনে সমবেত হয়ে হট্টগোল শুরু করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবী করে বিক্ষোভ করেন।
এসময় সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে ক্লিনিকের দরজায় তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দেন।
গত কয়েক বছর পুর্বেও এই ক্লিনিকে রোগির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা হচ্ছে বলে গ্রামবাসী জানান।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বি বলেন. ক্লিনিকের কাগজপত্র বৈধ রয়েছে। রোগী স্থানান্তর করে নওগাঁ নেওয়ার পথে মারা যায় এবং বাদি না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়েছে।