গ্রাম পুলিশের হাত ভেঙে দিলেন শ্রমিক দল নেতা
প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৫, ১৪:১২

নোয়াখালীর হাতিয়ায় পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে। আহত চৌকিদারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ১ নং হরনী ইউনিয়নের দিদার বাজারে।
আহত গ্রাম চৌকিদার মো. এরশাদ হোসেন ১নং হরনী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। সে ৬নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম চৌকিদার।
অভিযোগে জানা যায়, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন দিদার বাজারে চৌকিদারের উপর হামলা করা হয়। এ হামলার নেতৃত্ব দেন শ্রমিকদল নেতা আনোয়ার হোসেন। তারা পিটিয়ে চৌকিদারের বাম হাত ভেঙে দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টের পরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সরকারি সুযোগ সুবিধা বিতরণকে কেন্দ্র করে চৌকিদারের উপর ক্ষিপ্ত ছিল অনেকে। এ রেশ ধরে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের তৎপরতা কমে গেলে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও তাদের নির্দেশে গ্রাম চৌকিদাররা। এতে অনেক রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা অসন্তুষ্ট হন।
গ্রাম চৌকিদার এরশাদ হোসেন জানান, মসজিদের জায়গায় ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে তারা আমার উপর হামলা করে। এ সময় তারা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। এ সময় আমার ভাই জাফর আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আমার উপর হামলার ঘটনাটি আমি হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
শ্রমিকদল নেতা আনোয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাম চৌকিদারের সাথে মসজিদের জায়গা নিয়ে সমাজীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়েছে। আমার সাথে কিছু হয় নাই। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, হরনী ইউনিয়ন নিয়ে আমরা এমনিতে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় থাকি। এর আগেও ইউনিয়ন সচিবের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজকের বিষয়টির খবর পেয়েছি। আহত চৌকিদার এরশাদ হোসেন চিকিৎসা শেষ করে আসলে আমরা বিধি মোতাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।