পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছ রোপণ জরুরি

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৫, ১৬:৩৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

'বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’–এই প্রতিপাদ্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। 

সোমবার (৩০ জুন) সকালে শহরের আর্দশ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কার্যাক্রমটির উদ্বোধন করা হয়। 

পৌরসভা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র, আর্দশ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা, সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, পৌরসভার প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. সাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে। 

পৌরসভার সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে পৌর এলাকার ৩০রটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ টি করে মোট ১৫০ টি ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। 

পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই গাছের চারা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও যে সকল প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে, চাহিদা থাকলে তাদেরকে আরও দেওয়া হবে। 

পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, গাছ হলো প্রাকৃতিক বায়ু ফিল্টার, যা কার্বন-ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য দূষক শোষণ করে এবং বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ত্যাগ করে। গাছ তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করে। তাই গাছ রোপণের গুরুত্ব একটু বেশি। আমাদের উচিত খালি জায়গা পেলেই গাছ রোপণ করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, পৃথিবীতে অট্টালিকা, সড়ক, ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনার প্রয়োজন আছে৷ একইভাবে প্রযোজন রয়েছে আমাদের মুক্তভাবে সেবন করার জন্য বায়ু, বিশুদ্ধ আবহাওয়া ও পরিবেশের। তথা বিশুদ্ধ ধরিত্রীর প্রয়োজন। 

যদি এই দুটোর মধ্যে আমরা ভারসাম্য  রক্ষা করতে না পারি, তবে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারনে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে চললে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে। এতে পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে পৃথিবী৷ 

আরও বলেন, মনে রাখতে হবে, আমরা মারা গেলে পৃথিবী ধ্বংস হবে না। পরবর্তীতে আমাদের বংশধররা বসবাস করবে। তাদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়তে হলে গাছ রোপন করতে হবে। পরিবেশের বিপর্যয় হয় এমন কাজ সকলের পরিহার করতে হবে।