নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা

নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫, ১৩:০৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
-ফাইল ছবি

বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন বানচাল করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা কুট-কৌশল চালিয়ে নির্বাচন কিভাবে বাতিল করা যায় তা নিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগ তুলেছেন। 

তবে ষড়যন্ত্রকারীদের অযৌক্তিক অভিযোগের বিষয় উড়িয়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে অ্যাসোসিয়শনের বর্তমান সভাপতি সেলিম সারোয়ার। তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়শনে কোন ভুয়া সদস্য নাই, যারা এ ধরনের অযৌক্তিক বিভ্রান্তিকর অভিযোগ তুলেছে। তারা ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখছে। যারা এমন অভিযোগ করেছে তারা নির্বাচন বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে আমি মনে করছি।

এদিকে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, সংগঠনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আবু তাহের শামীম চৌধুরী, কবির হোসেন ভূঁইয়া, কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিসিক শিল্পনগরীতে শোডাউন দেয়। 

একই দিনে সেলিম সারোয়ারের নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়া আবল তাবল বকতে শুরু করছে। আবু তাহের শামীম চৌধুরী, কবির হোসেন ভূঁইয়া, কামাল হোসেন গংরা সংবাদ সম্মেলন করে যাদের নাম উল্লেখ করে ভুয়া সদস্য বলে আখ্যা দিয়েছে তারা কিসের বরাত দিয়ে বলছে আমাদের বোধগম্য নয়। 

তারা আরো বলেন, যারা ভূয়া সদস্য হিসাবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনারের কাছে আপিল করেন তাদের অভিযোগ আমলেও নিলেও সকল কাগজপত্র দেখে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনার আপিল খারিজ করে দেয়। যাদেরকে ভূয়া সদস্য বলা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলো মাহবুবুর রহমান স্বপন লতিফ নিটওয়্যার এর মালিক। তিনি তিনবারের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং আবু তাহের শামীম চৌধুরী যখন সভাপতি সেই কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। মূলত বিষয় হলো শামীম প্যানেলের বিপক্ষে থাকায় এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে পরাজিত হবে নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করছে। 

অ্যাসোসিয়শনের বর্তমান কমিটির সভাপতি সেলিম সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়শনের কোন ভূয়া সদস্য নাই। কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তারা শুধু মৌখিক ভাবে অভিযোগ তুলেছেন। যাদেরকে ভুয়া সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে কেউ ভুয়া সদস্য নয়। সকলের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং কারখানা চলমান রয়েছে। 

সকলের বৈধ কাগজপত্র জমা আছে। এমনকি যারা ভূয়া সদস্য হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং  নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনার তদন্ত করে তা খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে এটাতে কি প্রমানিত হয় তাদের অভিযোগ ভূয়া ষড়যন্ত্রমূলক। তারা নির্বাচন বানচাল করতে ভুয়া অভিযোগ করছে।