স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক দল ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৬

যাযাদি ডেস্ক
প্রতীকি ছবি

নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করে মামলার বাদী বলছেন, তাকে যারা মারধর করেছে এবং তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ‘ধর্ষণ’ করেছে তারাও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত।

 মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই শ্রমিক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।

অভিযোগকারীর বর্ণনা অনুযায়ী, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে শ্রমিক দল নেতা ফরিদ উদ্দিনকে। আর এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মো. আলাউদ্দিনকে।

বিষয়টি নিয়ে তজুমদ্দিন থানা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু জানান, অভিযুক্ত শ্রমিক দল নেতা ও মামলার আসামি মো. ফরিদ উদ্দিনকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ফরিদ উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ যারাই জড়িত আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। আমি কথা দিতে পারি তাদের পাশে দাঁড়াবে না বিএনপি।’

এদিকে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলা জেলা শাখার অধীন তজুমদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রাসেল এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন সজীবকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে মো. রাসেল ওই মামলার সাত নম্বর আসামি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বিবিসি বাংলাকে জানান, ‘ভোলার ওই ঘটনায় প্রাথমিক অভিযোগ ওঠায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়েছি এবং পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

ভোলার এই ঘটনায় আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল জেলা পুলিশ সুপার শরীফুল হকের কাছে। পুলিশ সুপার হক বলেন, ‘আসামিদের রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয় আছে কি-না এটা আমাদের কাছে মুখ্য না। অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি।’ [সূত্র: বিবিসি বাংলা]