চট্টগ্রামে ডিআইজি অফিসের সামনে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি : যায়যায়দিন

পটিয়া থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।  

বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় নগরের খুলশী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, পটিয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। উল্টো এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এতে অন্তত কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এরফানুল হক নামে এক যুবক নিজেকে এনসিপির মহানগর সংগঠক দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কথা বলতে এসেছি। আমাদের সঙ্গে ডিআইজি কথা বলেননি।”

এর এক ঘণ্টা আগে বেলা ৩টার দিকে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের কর্মী পরিচয়ে ডিআইজে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি শুরু করে এক দল যুবক। তারা পটিয়া থানার ওসির অপসারণ চেয়ে স্লোগান দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ডিআইজিকে তার কার্যালয় থেকে নেমে তাদের দাবি শোনার আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে তারা জাকির হোসেন সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এনসিপি নেতারা পটিয়া থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপসারণ, হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর তালুকদারকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করতে চায়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে।