মোংলায় বাংলালিংক নেটওয়ার্ক নিয়ে হতাশ গ্রাহক

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৫

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
ছবি : সংগৃহীত

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলালিংক। অথচ সম্প্রতি নেটওয়ার্ক মান এবং ইন্টারনেট গতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। বিশেষ করে মোংলা উপজেলায় সমস্যার মাত্রাটা অনেক বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাংলালিংকে একটানা কথা বলা প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলড্রপ, আওয়াজ কাটা পড়া এবং ল্যাগিং সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গী। তাছাড়া ইন্টারনেট গতির করুণ অবস্থা। অনেক জায়গায় ৪'জি দেখালেও আসলে গতি ৩'জি-এর চেয়েও কম।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ২'নং ওয়ার্ডের দওেরমেঠ এলাকার মোঃ আব্দুল হালিম শেখ নামের এক  ভুক্তভোগী গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, মোবাইল স্ক্রিনে ৪'জি লেখা থাকলেও ইউটিউবেও ৪৮০'পি ভিডিও ঠিকমতো দেখা যায় না। এত খরচ করে কীসের সেবা নিচ্ছি বুঝি না। কল করতে গেলেই নেটওয়ার্ক চলে যায়।ডেটা প্যাক কেনার পর মনে হয় টাকা পানিতে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। ফেসবুক খুলতেই মিনিটের পর মিনিট লাগে। এমন ৪'জি দেখে কান্না পায়।

এ বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, দিনের বেলা কোনো রকমে একটু নেট চলে, আর সন্ধ্যা নামলেই সিগনাল একেবারে হারিয়ে যায়। বাংলালিংক নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ, হাসবো না কাঁদবো বুঝি না। বাংলালিংকের অফার দেখে ডেটা নিই, কিন্তু স্পিড দেখি ২০০ কেবিপিএস! এই স্পিড দিয়ে ৪'জি চালানো সম্ভব? কল করলে মাঝপথে আওয়াজ কেটে যায়। কলড্রপ এখন বাংলালিংকের ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে মনে হয়। তাই তাদের অভিযোগের বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোংলায় বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৮৯% গ্রাহক তাদের নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট গতি নিয়ে অসন্তুষ্ট। মোংলা উপজেলায় ৩১'টি নেটওয়ার্ক টাওয়ার থাকলে সাধারণত মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের করুণ অবস্থা ভুগছেন। বিশেষ করে পিক আওয়ারে গতি কমে যাওয়া এবং কভারেজ সংকট প্রধান অভিযোগ হিসেবে উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইভজি লাইসেন্স নেওয়ার পরেও যখন ৪'জি নেটওয়ার্কে এত সমস্যা রয়ে যায়, তখন ভোক্তাদের আস্থা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে। সময়মতো নেটওয়ার্ক আপগ্রেড এবং ব্যাকএন্ড সাপোর্ট শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলালিংকের সামনে।

এ অভিযোগে বিষয়ে মোংলা ডিস্টু ভিশন হাউজের টিও মোঃ মইনুল ইসলাম সৈকতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহকদের কল ড্রপ, দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। এই সমস্যা সমাধানে জন্য বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল করে  বিষয় টা জানিয়েছি এবং এই নেটওয়ার্ক সমস্যা গুলো নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।