সোনাতলায় অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ২০:১০

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

সোনাতলায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযানে সাতজনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 
একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে চারটি ড্রেজার মেশিন জব্দ এবং বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ প্লাস্টিক পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে সোনাতলা উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত এ বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক, 
সেনাবাহিনীর সারিয়াকান্দি ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আরাফাত এবং সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন নবী।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথপুর এলাকায় বাঙালি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছিল। 
এতে নদী ভাঙনের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং স্থানীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—আড়িয়াঘাট ব্রিজ চরম ঝুঁকিতে পড়ে। উত্তোলিত বালু নদীতীরেই স্তুপ করে রাখা হতো এবং তা ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ও বিক্রি করা হচ্ছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় সাতজনকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মোস্তাফিজার রহমান, 
শাহ আলম, জাকিরুল ইসলাম ও শাহ আলম (দ্বিতীয়), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার তনু মিয়া ও মোন্তেজার রহমান এবং বগুড়ার গাবতলীর আব্দুল মমিন।

অভিযানকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী আটক সাতজনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযানে ব্যবহৃত সব ধরনের অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ ও অবকাঠামোর ক্ষতিরোধে এবং নদীভাঙনের ঝুঁকি কমাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।