দেশি ফল বাঁচিয়ে পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব: সাংবাদিকএসএম হান্নান
প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৫

মধুমাসে দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে অন্যতম বিদ্যাপীঠ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম একাডেমি ফল উৎসবের আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৩জুলাই) সকাল হতে শুরু হওয়া ফল মেলা চলবে বিকাল পর্যন্ত। ফল উৎসবটি রফিকুল ইসলাম একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসবটি একাডেমির সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। উৎসবে বিভিন্ন রকমের ফল পরিবেশন করা হয়েছে। ফলের মধ্যে ছিল কলা, আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, পেয়ারা, জাম, বাঙ্গি, লটকন ইত্যাদি দেশীয় ফল।
ফল মেলায় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি,সাংবাদিক নেতা ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য এসএম মাহফুল হাসান হান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএম মাহফুল হাসান হান্নান বলেন,এ উৎসবে এসে ভালো লাগছে। আমরা চালের ক্ষেত্রে যেমন আত্মনির্ভরতা অর্জন করেছি, এবার ফলের ক্ষেত্রেও তা অর্জনের করতে হবে।পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এই দেশি ফলের মেলা করার উদ্দেশ্য সবার কাছে দেশি ফলের পরিচিতি বাড়ানো। অনেকে দেশি ফল চেনেনই না। আঙুর, আপেল এসব বিদেশি ফল খান। কিন্তু আমাদের দেশি ফলের যে গুণগত মান ও স্বাদ, তা অনেক বিদেশি ফলের চেয়ে বেশি।দেশীয় ফলের উৎস, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বিশ্বমানের।
দেশি ফলকে বাঁচিয়ে পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এটাই হউক রফিকুল ইসলাম একাডেমি কর্তৃক ফল মেলার বড় বার্তা।
সভাপতি বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এই আয়োজনটি করেছি। বিদেশি ফল বাংলাদেশে আমদানি করা হয় বেশি। কিন্তু দেশীয় ফলের মধ্যে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। আর এই সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে আমরা প্রতি বছর এই আয়োজন করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিল দৈনিক সমকালের গাজীপুর প্রতিনিধি কবি ইজাজ আহমেদ মিলন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ, এটিএন নিউজের সাংবাদিক শিহাব খান, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তাওসিফুল ইসলাম রিয়াদসহ একাডেমির শিক্ষক, অভিভাবক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা মেলা দেখে বলেন, এখানে এমন অনেক ফল দেখছি, যেগুলোর নামও আগে শুনিনি। নতুন জাত ও প্রযুক্তি নিয়ে অনেক কিছু জানতেও পারছি।
মেলায় দেখা মিলছে বিভিন্ন দেশি ফলের। ডেউয়া, সফেদা, বিলাতি গাব, করমচা, কাউফল, শরিফা, অড়বরই, বেতফল ও লটকনের মতো ফলগুলো আগ্রহভরে দেখছিলেন মেলায় শিক্ষার্থীরা। অনেকে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে নিচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এখানে এমনও অনেক ফল দেখছি, যেগুলো আগে দেখার সুযোগ হয়নি।উদ্যোগটা খুবই ভালো। আশা করি ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
উৎসবটি একাডেমির সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। উৎসবে বিভিন্ন রকমের ফল পরিবেশন করা হয়েছে। ফলের মধ্যে ছিল কলা, আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, পেয়ারা, জাম, বাঙ্গি, লটকন ইত্যাদি দেশীয় ফল।