নবীগঞ্জে মসজিদের হিসাব ও মুয়াতাল্লি নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬

হবিগঞ্জ (নবীগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জুমার নামাজের সময় মসজিদ কমিটির অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসজিদে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদের নতুন মুয়াতাল্লি নিয়োগ ও সাবেক মুয়াতাল্লির হিসাব-নিকাশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদে প্রবীণ মুয়াতাল্লি আলাল মিয়া স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি হিসাব প্রদান করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীম আহমদ মনা গং হাফেজ নজরুল ইসলাম গংয়ের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হাফেজ নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর (৩৬), রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮) ও নিজাম উদ্দিন (৩৬)-কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে হাফেজ নজরুল ইসলাম জানান, মসজিদের সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে পুরোনো মুয়াতাল্লিকে অব্যাহতি ও হিসাব চাওয়া হলে শামীম মনার নেতৃত্বে তারা হামলা চালায়।

অন্যদিকে শামীম আহমদ মনা বলেন, “পুরোনো মুয়াতাল্লির কাছে ৩৬ হাজার টাকার হিসাব মিলছে না। আমরা সেটি জানতে চাওয়ায় উল্টো আমাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে হামলা চালানো হয়। হাফেজ নজরুল মসজিদ কমিটির সদস্যও নন।”

পুরাতন মুয়াতাল্লি আলাল মিয়া বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় হিসাব দিতে চেয়েছিলাম, তখনই কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।”

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। মামলা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”