টানা বৃষ্টিতে ঈশ্বরদীতে তলিয়ে গেছে আমনের চারার চাতাল

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৯

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
যায়যায়দিন

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে ঈশ্বরদীতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের অধিকাংশ চারার চাতাল। এতে হুমকির মুখে পরেছে আমন চাষীরা। তারা মনে করছেন এই চারার চাতাল পানিতে নষ্ট হয়ে গেলে তাদের আমন রোপনে অনেকটাই অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কার‌্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বোরো মৌসুমেও এ অঞ্চলে মোট ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৩৫( দুই হাজার  ছয়শত পঁয়ত্রিশ) হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ মাত্রার চেয়েও বেশী ধানচাষ হয়েছিলো প্রায় ৩০ (ত্রিশ) হেক্টর জমিতে। তদুপরি এ মৌসুমেও এ অঞ্চলের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা গত মৌসুমের চেয়ে বেশী হবে বলেও তারা ধারনা করছেন।

বর্ধিত এই লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য কৃষকরা বর্ধিত জমিতে ধানের বীজ বপন করেছে। কিন্তু গত টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অধিকাংশ চাতাল পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলার অরণকোলা, বাঘহাছলা, পতিরাজপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও মুলাডুলি অঞ্চল ঘুরে ধান চাতালের এমন দৃশ্য দেখাযায়।
কৃষক মো: নাঈম হোসেন বলেন, এবছর আমন মৌসুমে ধান রোপনের জন্য আমরা কয়েকজন মিলে প্রায় ১৮ (আঠারো)  কাঠা জমিতে বীজতলা করেছিলাম। 

কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে চাতাল গুলো একাধিকবার পানিতে তলিয়ে গেল। আমরা একাধিকবার পানি নিষ্কাষন করে দিয়েছি। কিন্তু তাতেও চলমান বৃষ্টির কারনে বারবার তলিয়ে যাচ্ছে। এতেকরে চাতালের চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে।

অরণকোলার কৃষক আমিন উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবলে ধানের চারা ভালো হয়না। আবার সেই চারা রোপন করলে সেই ধানও ভালো হয়না। এবারতো চারা ডুবল কয়েকবার। ধান কেমন হবে তা আল্লাই জানে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে আমনের চারার চাতাল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে তলিয়ে যাওয়া বীজতলা থেকে পানি বের করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোন ভাবেই যেন পানি দারাতে না পারে। পানি শুকিয়ে গেলে পচনের বিষ স্প্রে করতে হবে। চারা রোপনের উপযোগী হলে তা দ্রুত রোপন করতে হবে।