ঘাটাইলে চায়না জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার!
প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:১৭

টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলায় চায়না জাল দিয়ে অবাধে মাছ স্বীকার করছে জেলেরা। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ ডিমওয়ালা মাছ সহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে এ জালে, হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। ফলে মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে নদী খাল বিল ও জলাশয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় চায়না জাল সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা ও ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈঘ্য এবং ক্ষুদ্র ফাঁস বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়।
লোহার রড ও রডের রিং দিয়ে খোপ আকারে বাক্স তৈরি করে চারপাশ সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘেরাও করে তৈরি করা হয়। ফলে দুদিক থেকেই মাছ ঢুকতে পারে। আকার ও মান ভেদে একটি চায়না জালের দাম দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ঘাটাইলের হামিদপুর বাজার, সাগরদিঘী, গারোবাজার, ধলাপাড়া, পাকুটিয়া সহ বিভিন্ন হাট বাজারে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে এই চায়না জাল।
এই চায়না জালে পুটি, ট্যাংরা, টাকী, মাগুর, চেলা, শোল, শিং, ছোট চিংড়ি, পোনা এমকি বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী ব্যাঙ, সাপ, শামুক, কুচিয়া মারা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়ছে এসব জলজ প্রাণীর জীবন চক্র।
চায়না জালে সব ধরণের মাছ ছেঁকে উঠে দাম কম হওয়ার স্থানীয় মৎস শিকারীরা এ জাল দিয়ে মাছ ধরে। উপজেলার টোক নদী, বংশাই নদী, চাপরা বিলে ৩০ থেকে ৪০ জেলে চায়না জাল পেতে মাছ ধরছে। এ সময় জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব মাছ এমন কি নদী ও বিলে থাকা জলজ প্রাণী এ জালে উঠে আসছে।
এতে হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ
অবৈধ এই চায়না জাল বন্ধ না হলে আগামীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ খুজে পাওয়া যাবে না, হুমকিতে পড়বে জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন জানান উপজেলা প্রশাসনের বিষয়টি জানিয়েছে আমরা খুব শিগ্রই অভিযানে নামবো।