নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ২৭ আগস্ট ঘটলেও বৃহস্পতিবার ( ৩১ আগষ্ট) দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার ২৫ বছরের ওই গৃহবধুর গত ৫ বছর আগে রাধানগর গ্রামের আঃ লতিফের ছেলে শেখ ফরিদের (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী শেখ ফরিদ একজন মাদকসেবী হওয়ায় তাকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে না পারলে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা কালাপাহাড়িয়া এলাকার অপর এক যুবককে বিয়ে করে সংসার করতে থাকে।
কিছু দিন হলো পূর্বের স্বামী শেখ ফরিদ ওই গৃহবধুর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোনে ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন সময় হুমকী-ধমকী দিতে থাকে।
ধর্ষিতা গত রোববার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির পাশের রাধানগর বাজরের ফার্মেসী থেকে ওষুধ আনার জন্য বের হলে রাস্তায় প্রাক্তন স্বামী শেখ ফরিদ দেখতে পেয়ে তাকে ডাক দেয়। গৃহবধূ সাবেক স্বামীর ডাকে সাড়া না দিলে সাবেক স্বামী শেখ ফরিদ তার মুখ চেপে ধরে তার সহযোগী একই এলাকার মোঃ হালিম, মোঃ মজিবুর, সোহেল মিয়া ও আঃ কাদির এদের সহযোগিতায় তাকে উঠিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় তুলে মেঘনা নদীর মাঝ খানে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতার স্বামী তার স্ত্রীর খোঁজে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতেই নদীর ঘাট এলাকায় গেলে ধর্ষকেরা তাদেরকে দেখতে পেয়ে তাদরকেও ট্রলারে তুলে নদীর মাঝ খানে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে ধর্ষিতাসহ তার স্বামী ও স্বামীর বন্ধুকে মাঝ নদীতে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সেখান থেকে বন্ধুর সহযোগিতায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। বৃহষ্পতিবার এ বিষয়ে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি গণধর্ষণের মামলা করেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, মামলা নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
যাযাদি/ এস