রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
walton

খুলনায় হাত বাড়ালে মিলে মাদক : আতঙ্কে অসংখ্য পরিবার

মো: আতিয়ার রহমান,খুলনা
  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৩৬

খুলনায় হাত বাড়ালেই মিলে মাদক। এতে করে যুব সমাজ সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় শহর, সাতক্ষিরা হয়ে ডুকছে মাদক। মাদক, সিমান্ত এলাকা সাতক্ষিরা হয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহেন্দারা, মিনিবাস প্রাইভেট কারে ডুকছে মাদক।আর এই মাদকের ছোবলে যুবসমাজ অশান্তীর অন্তর জ্বালায় জ্বলছে অসংখ্য পরিবার।মাদক মানেই একটি সুন্দর জীবন নিমোজ্জিত নিকোষ কালো আধারে মাদক মানেই বিবেক আর ব্যক্তিত্বর নিশ্চিত ধ্বংসের অবক্ষয়। র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশের তৎপরতায় অসংখ্য মাদককারবারী গ্রেপ্তার হলে জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এসে আবারও জড়িয়ে পড়ে মাদক কারবারীতে।

খুলনা মহানগর এলাকায় ৭ নম্বর ঘাট বউ বাজার পাশে, খারিশপুর নয়াবাটি এলাকা ও খালিশপুর নিউমার্কেট এলাকা, গাফতলা মোড়, খুলনা সরকারী পরিকেনিক এলাকা, খালিশপুর হাউজিং এলাকার ১,নং- বিয়ারি ক্যাম্প।সানাডাঙ্গা,বাস টারমিনাল, দৌলতপুর বিএল কলেজ গেট ফোন মাধ্যমে চলছে মাদক ব্যবসা।

প্রায় আইন-শৃঙ্খলতা বাহিনীর অভিযানে মাদক সেবনকারী, মাদক বিক্রিতা, মাদক সরবরাহকারীকে প্রায় গ্রেফতার করলেও মুল হোতারা আছেন ধরাছোয়ার বাইরে।

যেখানে কোমল হাতে সর্বদা বই পুস্তক আর পড়ালেখা হবে যাঁদের সঙ্গী সেখানে আজ মাদকের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল খুলনা বিভাগ ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে হরহামেশা ভারত থেকে চুড়া পথে প্রতিদিন আমাদের দেশে অনায়াশে ঢুঁকছে সর্বনাশা মরণঘাতী বড় বড় মাদকের চালান।বাংলাদেশ সরকার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের এক বাক্যে জোড়ালো ভাষ্য ছিলো বাংলাদেশ হবে মাদকের জিরো টলারেন্স।

এমনকি মাদক কারবারীদে ধরতে পারলে আইনের কঠোর পদক্ষেপে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে যাবৎজীবন সাজার সাথে মৃত্যু দন্ডের কথা উল্লেখ থাকলেও থেমে নাই মাদক কারবারীদের দৌরাত্ব। আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে সীমান্তবর্তী অনেক প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।তবে সাধারণ জনগণদের প্রকাশ্য ভাষ্য যেখানে সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে সরকার দেশের সীমান্ত রক্ষী সকল প্রশাসন বাহিনীদের সর্বদা সতর্ক অবস্থানের মধ্যে সযাগ দৃষ্টি রেখে দেশের স্বার্থে সকল চোরাকারবারীদের নজরদারিতে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করে যাওয়ার কথা।

সেখানে দিবালোকে সীমান্তের চোরা গলি দিয়ে ঢুঁকছে কোটি কোটি টাকার মরণঘাতী নেশা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ও মদ সহ সরকার নিষিদ্ধ অসংখ্য পণ্য।কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা এই মাদক।যাঁর কারণে ধ্বংসের অবক্ষয় নেমে আসছে দেশের সকল যুব সমাজের মাঝে বলে জানান।

খুলনা মহানগর গযেন্দা শাখার প্রধান বিএম নরুজ্জামান (বিপিএম) যায়যাযদিনকে বলেন, কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা এই মাদক।যাঁর কারণে ধ্বংসের অবক্ষয় নেমে আসছে দেশের সকল যুব সমাজের মাঝে বলে জানান । আমরা প্রতিদিন নগরীতে অভিযান চলমান রেখেছি। কোন প্রকার মাদক ব্যবসা করতে দেওয়া যাবেনা। যারা মাদক সাথে জড়িত, তাদের তালিকা আমরা তৈরি করেছি, তাদের আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করব। এছাড়া আমাদের নতুন পুলিশ কমিশনার দিক নির্দেশনা করেছেন মাদক মুক্ত শহর গড়ব।

খুলনা বিভাগের নাগরিক সচেতন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ ইফতেখার আলী যায়যায়দিনকে বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু গণমাধ্যমে উঠে আসতে দেখা যায় মাদক কারবারিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে ও মাদক সেবনের অপরাধে প্রশাসনের কর্মকর্তা আটক। এসকল তথ্য প্রকাশিত হলেও যুগ যুগ ধরে প্রশাসনের কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা গোপনের দেশের সীমান্ত বর্তী এলাকার মাদকের গডফাদারদের সাথে অন্তরালে যোগসূত্র থেকেই যাচ্ছে বলে সমাজের সচেতন জনগোষ্ঠীর প্রকাশ্য ধারণা।প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে মাদক এখন শহর থেকে গ্রামের হাঁটে বাজারে সহজ লোভ্য এদিকে আবার খুলনা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো:মিজানুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, সর্বগ্রাসী মাদকের বিষাক্ত ছোবলে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখোমুখি।

নেশা সর্বনাশা জেনেও ক্ষণিক সুখের জন্য অনভিজ্ঞ যুব সমাজ নেশায় আক্রান্ত। যুব সমাজ হচ্ছে দেশ ও জাতীর ভবিষ্যৎ এবং আগামী দিনের কর্ণধার কিন্তু আজ সেই যুব সমাজকে নিশ্চিত অন্ধকার জগতের দিকে ক্রমন্যয় ধাবিত করছে একমাত্র নেশার কালো ধোয়া।যার কারণে সমাজের পারিবারিক কলহ বিবাদ বিবাহ বিচ্ছেদ সংসার জীবনে নেমে আসছে অশনি কালো থাবার সর্বনাশা মাদকের অশুভ শক্তি। ঘরে দুগ্ধ শিক্ত শিশু সন্তান খাদ্যের অভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যুর মুখে অগ্রসর হলেও এমন কি নিজের স্ত্রীর পরণের কাপড় থাকুক আর না থাকুক নেশা সেবন কারীদের প্রতিদিন যথা সময়ে নেশার মজলিসে সামিল হয়ে নিশ্চিন্তে নেশা করে ঘরে ফিরছে। খালিশপুর ১২ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও সাংবাদিব মুজতবা নজর চৌধুরী বলেন, আমার এলঅকায় কোন প্রকার মাদক ব্যবসা চলবে না।

মাদক কারবারীদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহরের প্রতিটা মাদকের চিহ্নিত পয়েন্ট গুলো তল্লাসী করে। মরণঘাতী মাদক সহ কারবারীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করলে এবং সেইটা যদি প্রশাসন মহল অভিযান অব্যহত রাখে। তাহলে মাদকের কুচক্রী মহলের পেশি শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে হরহামেশা মাদকের ব্যবসা করার সাহস পাবেনা।

তবে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যগুলোতে লক্ষ করা যায় প্রশাসনের বিভিন্ন মহল অভিযানিক তৎপরতা চালিয়ে নগরীর কিছু কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারিদের আটক করে জেল হাজতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করলে ও কিছু দিন যেতে না যেতেই আইনের কোনো ফাকফোকর দিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে এসে আবারো দাপটের সাথে কৌশল পাল্টিয়ে মাদক ব্যবসা শুরু করে।

তবে ইদানিং আবার বিভিন্ন এলাকার তথ্য সূত্র থেকে জানা যায় শহরের অনেক রুপবতী নারীরা এখন ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। তবে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জা দেখে এবং চলা ফেরার ষ্টাইলে কেউ সাহস করে তাদের কিছু বলতে সাহস পায়না।

অথচ যাঁরা মাদক সেবনকারি তারা ঠিকই তাদের চিহ্নিত করে ভ্রাম্যমান নারী মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে হরহামেশা বিভিন্ন ধরনের মাদক খরিদ করছে।আর এই ভ্রাম্যমান নারী মাদক চক্রের সংখ্যা শহর জুঁড়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি দলে বিভিক্ত হয়ে ২ থেকে ৩ জনের মাদক বিক্রেতা দল অনায়াসে ঘুরে ফিরে মাদক বিক্রি করছে।

বলে তথ্য পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় সুশীল সমাজ মাদকাশক্তদের নিয়ে মন্তব্য করে বলে দেশের তরুন সমাজ বিভিন্ন পারিবারিক সামাজিক ও বেক্তি কেন্দ্রীক প্রেম ঘটিত ব্যাপারে হতাশার কারণে তরুণ সমাজের বিরাট একটি অংশ আজ মাদকের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করে আজ বিপদগামী।যাঁর কারণে স্নেহময়ী সন্তান নেশার উন্মাদনা সহ্য করতে না পেরে পিতা মাতার গায়ে পর্যন্ত হাত তুলছে। স্বামী মারছে স্ত্রীকে স্ত্রী মারছে স্বামীকে এভাবে সংসার জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক পর্যায়ে একমাত্র মাদকের কারণে সর্বদা লেগে আছে চরম অশান্তি। আর যার কারণে সামাজিক লোকলজ্জার কারণে নির্বাক হয়ে অবাধ্য সন্তান, স্বামী, ভাই মাদক আসক্তদের অমানবিক অত্যাচার লোক চক্ষুর অন্তরালে চাপা কষ্ট বুকে ধারণ করে চোখের জলে মাথা নিচু করে মেনে নিতে হয় সর্বগ্রাসী মাদকের অত্যাচার।আর সেই থেকে সম্ভাবনাময় পরিবার গুলো চোখের সামনে নেশায় বকে যাওয়া সন্তানদের ধ্বংসের অবক্ষয় দেখে প্রতিটা পরিবার নিমজ্জিত হচ্ছে নিকোষ কালো অজানা অন্ধকার জগতে। পাশাপাশি নিভে যেতে বসেছে জীবনের আশার আলো।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
shwapno

উপরে