রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি ব্যাংকে দুই পুলিশ ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত পুলিশের দেওয়া তথ্য নিয়ে বাসাবো এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের আরেক পরিকল্পনাকারী আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আইএফআইসি ব্যাংক নয়া পল্টন শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা হলেন কনস্টেবল মাহবুবর রহমান, কনস্টেবল আসিফুর রহমান, বাসাবো এলাকার সোহেল, ফুটপাতের হকার হৃদয় ও মঞ্জু।
এ ব্যাপারে পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় দু’জন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন ব্যবসায়ীর কর্মচারী আজিম উদ্দিন দুপুরে ৭২, নয়া পল্টনের অরচার্ড ফারুক টাওয়ারে আইএফআইসি ব্যাংক, নয়া পল্টন শাখায় ২০ লাখ টাকা জমা দিতে আসেন। তিনি এসে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ান। এ সময় পুলিশের ইউনিফর্ম পরা দু’জন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। পরে তার কাছে থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডিবির মতিঝিল জোনাল টিম উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যাংকের সামনের ফুটপাতের হকার হৃদয় ও তার সহযোগী মঞ্জুকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য ডেমরা পুলিশ লাইনে ক্লোজ হয়ে থাকা পুলিশের দুই সদস্য কনস্টেবল মাহাবুব ও কনস্টেবল আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ আটক করে ডিবি। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাসাবো থেকে ছিনতাইয়ের আরও ১০ লাখ টাকা ও মোটরসাইকেলসহ সোহেলকে আটক করে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছিনতাইয়ের সঙ্গে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল জড়িত ছিল। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিভিলে থাকা তিন ব্যক্তি টাকার বিষয়ে ওই দুই পুলিশকে তথ্য দেন। এরপর ইউনিফর্ম পরা দুই পুলিশ কনস্টেবল ব্যাংকে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে বাইরে নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। দুই পুলিশ কনস্টেবল বিভাগীয় অপরাধের অভিযোগে আগে থেকেই বরখাস্ত ছিলেন। তাদের ডেমরা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছিল।
যাযাদি/ এস