পাঁচ বছরেই নায়িকারা পুরনো হয়ে যায় পুরো নাম রত্না কবির সুইটি হলেও দর্শক ও চলচ্চিত্র মহলে কেবলমাত্র রত্না নামেই পরিচিত তিনি। অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের বিপরীতে ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক ঘটে একসময় ঢাকাই চলচ্চিত্রে ব্যস্ত এই চিত্রনায়িকার। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি টিভি নাটক, ওয়েবসিরিজেও কাজ করেন।
নতুন কাজকর্ম নিয়ে কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে?
যেসব সিনেমায় কাজ করেছেন সেগুলোও তো মুক্তি পাচ্ছে না?
বুঝতে পারছি না কেন সেগুলো মুক্তি পাচ্ছে না। কয়েকটি সিনেমার কাজ শেষ করলাম অথচ সেগুলো পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এরমধ্যে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু আঙ্কেলের সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘কাঁসার থালায় রূপালী চাঁদ’টি কেন রিলিজ দেওয়া হচ্ছে না আমি জানি না। অনেক ভালো ভালো সিনেমা আমার ঝুলে আছে।শিল্পীদের আত্মহত্যার প্রবণতার বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
এই হতাশা কি নায়কদের চেয়ে নায়িকাদেরই বেশি?
হ্যাঁ, এই হতাশা পুরুষের তুলনায় মেয়েদেরই বেশি। পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা সুবিধা আছে, অভিনয়ের বাইরেও তাদের অন্য জগৎ আছে। যেটা নায়িকাদের নেই। নায়িকারা এমন যে, তারা যেখানেই থাকুক তার আশপাশের কারো সঙ্গেই কোনো যোগাযোগ থাকে না। তারা কখন বাসা থেকে বের হয় আর কখন বাসায় ফিরে এ নিয়ে কারোরই জানা থাকে না। অথচ, অভিনেতারা অভিনয়ের বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে, পারিপার্শ্বের মানুষের সঙ্গে কমিউনিকেট করছে, নানা সোসাইটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছে। এ কারণে অভিনেতাদের হতাশা অনেক কম। আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি কোনো শিল্পী ঘরে বসে থাকে। এর জন্য ভালো পরিবেশও থাকতে হবে। নারীদের জন্য দরকার ভালো পরিবেশ তৈরি করা। যাতে আমার সমস্যা হলে তাদের কাছে যেতে পারি আত্মহত্যার পথ নয়।
আপনার সময়ের নায়িকারা অনেকেই অভিনয়ে নেই- কারণ কি?
আমাদের এখানে এমন একটা ব্যাপার চলছে, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে একটু বয়স হলেই পুরনো বলে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি খালি নতুন মুখ খুঁজে। বাইরের ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু এটা হচ্ছে না। অথচ আমার সময়ে যারা হিরো ছিলেন যেমন শাকিব খান। যখন আমি নায়িকা হিসেবে কাজ করি তখন আমি অনেক ছোট। অথচ শাকিব খান এখনও সেই নায়ক হয়েই আছেন। পূর্ণিমা আপু তার নায়িকা হয়ে কাজ করেছেন। এখন বলা হচ্ছে তিনি ওল্ড বা বুড়ি হয়ে গেছেন। নায়কদের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন বলা হয় না। শুধু নায়িকাদের ক্ষেত্রেই দর্শকের চোখের মধ্যে ধরিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা পুরনো হয়ে গেছে। একজন নায়িকা চার/পাঁচ বছর হলেই তাকে পুরনো বলে উপেক্ষা করছে। অ্যাকচ্যুয়াল নট ব্যাড। দেখেন, জয়া আপু আমার তুলনায় এক যুগেরও বেশি সিনিয়র। অথচ, তাকে নতুন নায়িকা ধরা হচ্ছে। এটা নারী শিল্পীদের জন্য কোনো সুবার্তা বয়ে আনতে পারে না। এটা খুবই দুঃখজনক। সে কারণেও অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা ভর করে।যাযাদি/ এস