শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশ ও বিদেশে বাড়ছে পাটের বহুমুখী ব্যবহার

পাটের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাতিসংঘ প্রাকৃতিক পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে। জাপানের টয়োটা কোম্পানির গাড়ির বডিতে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আমেরিকার শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিএম মোটরস এবং জাপানের মিতসুবিশি কোম্পানিও তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার করছে। টয়োটা গাড়ির বডির ৩৭ অংশে পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট দিয়ে পরিবেশবান্ধব পস্নাস্টিক তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। এ জন্য বিশ্ব বিখ্যাত কানাডিয়ান ফেল কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কান্ট্রি প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। পস্নাস্টিকের সঙ্গে ৩০ ভাগ পাট মিশিয়ে পস্নাস্টিকসামগ্রী তৈরি করা হবে। যা পরিবেশবান্ধব হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডবিস্নউটিও) গাড়ির বডিতে ব্যবহারকৃত কাঁচ, অ্যাজবেসটস ও পস্নাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহারের জন্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
আলতাব হোসেন
  ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

পাটখড়ি থেকে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটার ও ফটোকপির মূল্যবান কালি। প্রায় ৫০ ধরনের পাটের কাপড় রপ্তানি হচ্ছে। গাড়িতে ব্যবহার হচ্ছে পরিবেশবান্ধব পাট। এ ছাড়াও যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষে বিধ্বস্ত দেশগুলোতে দাতা সংস্থার ত্রাণসামগ্রী ব্যবহারে পাটের দড়ি ও বস্তার চাহিদা বেড়েছে। উড়োজাহাজ থেকে পাটের বস্তার মধ্যে খাবারসামগ্রী নিচে ফেলা হচ্ছে। পাটের সুতা দিয়ে শাড়ি, পাঞ্জাবির কাপড়, টুপি, জিন্স ও গরম কাপড় তৈরি হচ্ছে। বিশ্বখ্যাত বিলাসবহুল গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে পাট। উড়োজাহাজের ইন্টেরিয়রও তৈরি হচ্ছে পাট দিয়ে। পাট পাতার সু্যপ ও পাটের কফিন ইউরোপের দেশগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। বিশ্বে পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক এই তন্তুর বহমুখী ব্যবহার বেড়েছে। জলবায়ু পরির্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাঁধ ও নদী ভাঙনরোধে পাটের বস্তা ব্যবহার হচ্ছে।

কাঁচা পাটের পাশাপাশি জুট ইয়ার্ন, টুওয়াইন, চট ও বস্তার পর এবার বিশ্ব বাজারে পাটের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে প্রায় ৫০ ধরনের পাটের কাপড় রপ্তানি হচ্ছে। হাতে তৈরি বিভিন্ন পাটজাত পণ্য ও কার্পেট মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাটের ২২ জাতের সুতা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪ দেশে। পাটখড়ি বা পাটকাঠি এত দিন রান্নার কাজে জ্বালানি ও ঘরে বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার হতো। এখন পাটখড়ি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে উচ্চমূল্যের অ্যাক্টিভেটেড চারকোল। এই চারকোল দেশের বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হচ্ছে ও বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে- যা থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বনপেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপির কালি, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, ওয়াটার পিউরিফিকেশন পস্ন্যান্ট, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী পণ্য। পাটের চারকোল রপ্তানি হচ্ছে চীন, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে। পাটের আঁশ থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, লুঙ্গি, পর্দার কাপড়, গয়না, অলংকারসহ ২৮৫ ধরনের পণ্য- যা দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ১৩৫ ধরনের বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রি হচ্ছে দেশে-বিদেশে। পাট দিয়ে নন্দন ও রুচিশীল ফ্যাশন্যাবল বা সৌন্দর্যমন্ডিত পণ্য, দৈনন্দিন ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী, নানা প্রকারের হ্যান্ডিক্রাফট, হোম টেক্সটাইল পার্টেক্স বোর্ড ইত্যাদি বাংলাদেশের পাট এখন পশ্চিমা বিশ্বে গাড়ি নির্মাণ, পেপার অ্যান্ড পাম্প, ইনসু্যলেশন শিল্পে, জিওটেক্সটাইল হেলথ কেয়ার, ফুটওয়্যার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিক্স, মেরিন ও স্পোর্টস শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্বে বাংলার পাটের এখন রমরমা বাণিজ্য চলছে।

পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাটের তৈরি বৈচিত্র্যময় পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে প্যাকিং সরঞ্জাম, স্মার্ট পাটের ব্যাগ, পাটের তৈরি টব, খেলনা, জুট ডেনিম, জুয়েলারি, ম্যাটস, জুতা, স্যান্ডেল, বাসকেট আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। পাটের ২২ জাতের সুতা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪টি দেশে। বাংলার পরিবেশবান্ধব পাট নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে গবেষণা চলছে। সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়। ওই সফলতার হাত ধরেই এখন বাংলাদেশের পাট বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির গাড়ি নির্মাণে, পেপার এবং পাম্প, ইনসুলেশন কাজে, জিও টেক্সটাইলে, ইনজেকশন মোল্ডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পাট এবং পস্নাস্টিক মিশিয়ে পণ্য তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সোনালি আঁশ পাট।

পাটের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাতিসংঘ প্রাকৃতিক পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে। জাপানের টয়োটা কোম্পানির গাড়ির বডিতে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আমেরিকার শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিএম মোটরস এবং জাপানের মিতসুবিশি কোম্পানিও তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার করছে। টয়োটা গাড়ির বডির ৩৭ অংশে পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট দিয়ে পরিবেশবান্ধব পস্নাস্টিক তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। এ জন্য বিশ্ব বিখ্যাত কানাডিয়ান ফেল কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কান্ট্রি প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। পস্নাস্টিকের সঙ্গে ৩০ ভাগ পাট মিশিয়ে পস্নাস্টিকসামগ্রী তৈরি করা হবে। যা পরিবেশবান্ধব হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডবিস্নউটিও) গাড়ির বডিতে ব্যবহারকৃত কাঁচ, অ্যাজবেসটস ও পস্নাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহারের জন্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে গাড়ির দরজার কার্পেটের অংশে, পস্নাস্টিকের ভ্যাস বোর্ডে ও বুট বোর্ডের কার্পেটে, বনেট ইনসু্যলেশন প্যাড, আন্ডার ফেল্ট সিট, আন্ডার ভ্যাস ট্রে লাইনার, সান ভিশন প্যাড, হ্যান্ড ব্রেইক গেটার ও জ্যাক ব্যাগ। গাড়িতে পাট ব্যবহারে এই শিল্পে পাটের ব্যবহারের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

পাটের পাতা শাক ও সু্যপ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে বাণিজ্যিকভাবে পাটপাতা রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। থাইল্যান্ড, চীন ও জাপানে এ সু্যপের বেশ কদর রয়েছে। পাটকাঠি হাডবোর্ড তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে তিন হাজার টন পাটখড়ি তৈরি হয়। যা জ্বালানি কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। কাগজ শিল্পে পাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে কাগজ শিল্পের জন্য একটি গাছ থেকে কাঠ পেতে সময় লাগে আট থেকে ১০ বছর। অথচ মাত্র এক মাসের বয়সি পাট গাছ দিয়েই কাগজ তৈরি সম্ভব বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাট দিয়ে কাগজ তৈরি কাঠের চেয়ে ব্যয় যেমন কম তেমনি অনেক সহজও বটে। এ ছাড়াও পাট দিয়ে কাগজ তৈরি করলে গাছ রক্ষা পাবে। ফলশ্রম্নতিতে পরিবেশের ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে।

কার্বন ফ্যাক্টরি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, পাটের আঁশের পাশাপাশি পাটখড়ি ও পাটখড়ির ছাই দেশে-বিদেশে চাহিদা বাড়ছে। পাটখড়ি থেকে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটা ও ফটোকপির মূল্যবান কালি। সম্ভাবনার নতুন খাত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে পাটখড়ির ছাই বা ছাই থেকে তৈরি কার্বন। পাটখড়ি পুড়িয়ে তৈরি করা হয় চারকোল পাউডার বা কার্বন। এ কার্বন রপ্তানি হয়। কার্বন থেকে তৈরি হয় কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপির কালি, আতশবাজি, মোবাইলফোনের ব্যাটারি ও প্রসাধন সামগ্রী।

বাংলার পাটের রয়েছে বিশাল গৌরবময় ঐতিহ্য। পাটের আদিভূমি হলো বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ার পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, উড়িষ্যা ও বিহার অঞ্চল। এ অঞ্চলে প্রায় ৪০ প্রজাতির পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা পাট উৎপাদিত হয়। পাটের ইতিহাসও অনেক প্রাচীন। গ্রিক, মিশরীয়, প্যালেস্টাইন এবং আরব সাহিত্যে পাটের উলেস্নখ আছে সবজি ও ঔষধি গাছ হিসেবে। মনুর শাস্ত্রে পাটের উলেস্নখ আছে- পাট্রা হলো অদ্ভুত ধরনের মসৃন কাপড় যা গাছের ছাল থেকে তৈরি হয়। মহাভারতেও পাটের উলেস্নখ রয়েছে। আইন-ই আকবরিতে ছালার কাপড়ের উলেস্নখ আছে। রমেশ দত্তের দি ইকোনমিকস হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া আন্ডার আরলি বিট্রিশ রুল বইতে উলেস্নখ আছে ১৮০৮ থেকে ১৮১৫ সালে দিনাজপুর জেলার ১৩ হাজার একর জমিতে পাট চাষ করা হতো। এ থেকেই অনুমান করা যায় এক সময় পাটের কি রমরমা অবস্থা ছিল বাংলাদেশে। বিশ্বের মোট পাটের ৯০ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। এককভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে উৎপাদিত কাঁচা পাটের ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পাটের সুনাম আছে। সরকারের নানা উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর সোনালি আঁশে আবার সোনালি স্বপ্ন দেখা দিয়েছ।

পাটের তৈরি বৈচিত্র্যময় পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে প্যাকিং সরঞ্জাম, স্মার্ট পাটের ব্যাগ, পাটের তৈরি টব, খেলনা, জুট ডেনিম, জুয়েলারি, ম্যাটস, জুতা, স্যান্ডেল, বাসকেট আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

পাটের আঁশের পাশাপাশি পাটখড়ি ও পাটখড়ির ছাই দেশে-বিদেশে চাহিদা বাড়ছে। পাটখড়ি থেকে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটা ও ফটোকপির মূল্যবান কালি। সম্ভাবনার নতুন খাত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে পাটখড়ির ছাই বা ছাই থেকে তৈরি কার্বন। পাটখড়ি পুড়িয়ে তৈরি করা হয় চারকোল পাউডার বা কার্বন। এ কার্বন রপ্তানি হয়। কার্বন থেকে তৈরি হয় কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপির কালি, আতশবাজি, মোবাইলফোনের ব্যাটারি ও প্রসাধন সামগ্রী। কার্বন ফ্যাক্টরি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চারকোল রপ্তানি হয় চার হাজার ১৮২ দশমিক ২৭ টন। প্রতি টন চারকোলের মূল্য ছিল ৭০০ ডলার। এ হিসাবে চারকোল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আসে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৯ ডলার বা প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বিশ্বের মোট পাটের ৯০ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। এককভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে উৎপাদিত কাঁচা পাটের ৪০ শতাংশ উৎপাদন করে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পাটের সুনাম আছে। সরকারের নানা উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর সোনালি আঁশে আবার সোনালি স্বপ্ন দেখা দিয়েছে।

পাটের দেশ বাংলাদেশ হলেও পাট পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে ভারত। তারপরও কয়েক বছরে বাংলাদেশ পাট খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর হিসাবে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১১৬.১৪ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। আগের বছরের তুলনায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ডক্টর আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্বে এখন পস্নাস্টিক বা সিনথেটিক ফাইবার বাদ দিয়ে ন্যাচারাল ফাইবারের একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। নানা ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর রমরমা হয়ে উঠেছে পাটবাণিজ্য। আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে পাটবস্ত্রের উলেস্নখ পাওয়া যায়। মধ্যযুগে মহর আলীর পাটের শাড়ি, হাজার বুটিক পাটের শাড়ি, সৈয়দ শামসুল হকের নুরুলদিনের সারাজীবনে আগুন পাটের শাড়ির উলেস্নখ পাওয়া যায়। অর্থাৎ পাট বাংলার নিজস্ব সম্পদ, অত্যন্ত মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ। পাটখড়ি থেকে বিজ্ঞানী কুদরত-ই খুদা পারটেক্স

আবিষ্কার করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে