শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে মুক্তা চাষে অপার সম্ভাবনা

দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিমাণ প্রায় ৪৩.৩৭ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে পস্নাবন ভূমিসহ মুক্ত জলাশয় ৪০.৪৭ লাখ হেক্টর। উপকূলীয় চিংড়ি খামারসহ বদ্ধ জলাশয় ২.৯০ লাখ হেক্টর। দেশের ৭১০ কি.মি. তটরেখার কাছাকাছি বেইজ লাইন থেকে সাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত আমাদের অভ্যন্তরীণ জলসীমা। এর প্রায় ১,৬৪,০০০ বর্গ কি.মি. এলাকা দেশের সামুদ্রিক জলসীমা। যা দেশের মূল ভূ-খন্ডের আয়তনের চেয়েও বড়। এ জলসীমার মাত্র ৫০ ভাগ এলাকায় প্রণোদিত উপায়ে মুক্তা চাষ করতে পারলে এক বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। মুক্তা বিজ্ঞানী ডক্টর আবদুল কাইয়ুম জানান, দেশে মুক্তা উৎপাদনকারী ৫ প্রজাতির মিঠাপানির ঝিনুকের মধ্যে ২ প্রজাতির ঝিনুক ইমেজ মুক্তা উৎপাদনে অধিকতর উপযোগী। কৃত্রিম মুক্তা চাষ ব্যয়বহুল নয়। এছাড়া মাছ চাষের সঙ্গে সম্পূরক খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। ইমেজ মুক্তা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় আকৃতির স্বাস্থ্যবান ঝিনুক বাছাই করা হয়। পরে চ্যাপ্টা আকৃতির বস্তুর প্রতিচ্ছবি ঝিনুকে স্থাপন করে ঝিনুক পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইমরান সিদ্দিকী
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

মুক্তা শৌখিনতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। মুক্তা অলংকারে শোভিত অতি মূল্যবান রত্ন। মুক্তার প্রধান ব্যবহার অলংকার হলেও কিছু কিছু জটিল রোগের চিকিৎসায় এবং ওষুধ তৈরিতে মুক্তা ও মুক্তাচূর্ণ ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, মুক্তা ধারণে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এছাড়া মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুকের খোলস নানা ধরনের অলংকার হয়।

ঝিনুক শিল্প আমাদের দেশে একটি সম্ভাবনাময় শিল্পের নাম। মাছ চাষের পাশাপাশি ঝিনুক চাষ করে আমরা পেতে পারি মহামূল্যবান বস্তু 'মুক্তা'। এতে জলাশয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব। শৌখিনতা ও আভিজাত্যের প্রতীক হলেও মুক্তা কিছু জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। মুক্তা অতি প্রাচীন মূল্যবান রত্ন। যা জীবন্ত প্রাণী ঝিনুক থেকে পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে যেমন মুক্তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ বাজারেও মুক্তার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে চীন, জাপান, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ প্রণোদিত উপায়ে মুক্তা উৎপাদন করে ব্যাপক অর্থনৈতিক সফলতা লাভ করেছে। বাংলাদেশেও মুক্তা চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

মুক্তা জীবন্ত ঝিনুকের দেহের ভেতরে জৈবিক প্রক্রিয়ায় তৈরি এক ধরনের বস্তু। কোন বাহিরের বস্তু ঝিনুকের দেহের ভেতরে ঢুকে নরম অংশে আটকে গেলে আঘাতের সৃষ্টি হয়। ঝিনুক এই আঘাতের অনুভূতি থেকে উপশম পেতে বাহির থেকে প্রবেশকৃত বস্তুটির চারদিকে একধরনের লালা নিঃসরণ করতে থাকে। ক্রমাগত নিঃসৃত এই লালা বস্তুটির চারদিকে ক্রমান্বয়ে জমাট বেঁধে মুক্তায় পরিণত হয়। চূর্ণ মুক্তা আয়ুবের্দিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুকের খোলস অলংকার ও সৌখিন দ্রব্যাদির পাশাপাশি হাঁস-মুরগি, মাছ ও চিংড়ির খাদ্যের প্রয়োজনীয় উপাদান ক্যালসিয়ামের একটি প্রধান উৎস। উন্নত বিশ্বে ঝিনুকের মাংস মানুষের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) প্রথমবারের মতো ইমেজ (প্রতিচ্ছবি) মুক্তা চাষে সফলতা পেয়েছেন। মিঠাপানির ঝিনুক থেকে পাখি, মাছ, নৌকাসহ বিভিন্ন বস্তুর নকশার দৃষ্টিনন্দন ইমেজ মুক্তা উৎপাদনে তারা এই সফলতা পান। আমাদের দেশে আগে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণ মুক্তা উৎপাদিত হতো। পৃথিবীর ইতিহাসে ১৮৯০ সালে জাপানি বিজ্ঞানি কোকিচি মিকিমোতো সর্বপ্রথম প্রণোদিত উপায়ে মুক্তা চাষে সফল হন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৯ সালে স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের পরীক্ষামূলক গবেষণা শুরু করে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১২ সালে মুক্তা চাষ প্রযুক্তি উন্নয়ন ও সম্প্র্রসারণ নামক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এই প্রকল্পের আওতায় স্বাদু পানির ঝিনুকের ওপর মুক্তা বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কাজ পরিচালিত হচ্ছে। তিন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা মুক্তা পেতে পারি।

ঝিনুক থেকে মুক্তা তৈরির জন্য ঝিনুকের দেহের ভেতরে ম্যান্টল টিসু্য প্রবেশ করানো হয়। বর্তমানে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ঝিনুক থেকে মুক্তা তৈরিতে ম্যান্টল টিসু্য অপারেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। সুন্দর ও আকর্ষণীয় মুক্তা তৈরির জন্য ঝিনুকে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্ধারিত আকারের ম্যান্টল টিসু্য প্রবেশ করাতে হবে। একটি ঝিনুকে মুক্তা তৈরি করতে অপর একটি ঝিনুককে কেটে ফেলতে হয়। প্রথমে একটি ঝিনুককে কেটে ম্যান্টল টিসু্যর বহিঃত্বক লম্বা করে কেটে বিচ্ছিন্ন করতে হয়। বিচ্ছিন্ন করা টিসু্যটিকে লম্বা করে একটি গস্নাস বোর্ডে রাখতে হয়। লম্বা টিসু্যকে পরে টুকরো টুকরো করে কাটতে হয়। এরপর টুকরো করা ম্যান্টল টিসু্য অন্য একটি জীবিত ঝিনুকে স্থাপন করতে হয়। এভাবে অপারেশন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়।

নিউক্লিয়াস অপারেশন পদ্ধতি এবং ম্যান্টল টিসু্য অপারেশন পদ্ধতি মোটামুটি একই রকম। এই পদ্ধতিতে ঝিনুকের ভেতর একসঙ্গে ম্যান্টল টিসু্য ও নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানো হয়। নিউক্লিয়াসের উপর মুক্তার প্রলেপ পড়ে এবং নিউক্লিয়াসকে ঘিরে মুক্তা তৈরি হয়। মুক্তা ইমেজ আকারেও উৎপাদন করা সম্ভব। কোনো মানুষ, প্রাণি বা বস্তুর ইমেজ আকারে মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব। মোম, ঝিনুকের খোলস, পস্ন্যাস্টিক, স্টিল ইত্যাদি পদার্থ দিয়ে ইমেজ তৈরি করা যেতে পারে। এজন্য প্রথমে ইমেজগুলোকে পানিতে ভেজাতে হবে। ঝিনুকের খোলস ৮-১০ মি.মি. খুলতে হবে এবং কাঁদা, বালি ইত্যাদি পরিষ্কার করতে হবে। একটি পাতলা পাত দিয়ে খোলসের কিছু অংশ থেকে ম্যান্টল আলাদা করতে হবে। সাবধানতার সঙ্গে ইমেজ ঢুকিয়ে ম্যান্টল গর্ত থেকে বাতাস ও পানি বের করে দিতে হবে। অপারেশনকৃত ঝিনুককে মাছের সঙ্গে পুকুরে একত্রে চাষ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ঝিনুকগুলো নেট ব্যাগে রেখে দড়ির সাহায্যে পুকুরে ১-১.৫ ফুট গভীরতায় ঝুলিয়ে চাষ করা হয় অথবা সরাসরি জলাশয়ের নিচে ছেড়ে দিয়ে চাষ করা হয়। এরপর মাছ চাষের যে ব্যবস্থাপনা ঠিক সেই ব্যবস্থাপনাতেই মুক্তা চাষ করা হয়। মুক্তা চাষে বাড়তি কোনো খাবারের প্রয়োজন হয় না। পুকুরে কেবল নিয়মিত চুন ও সার প্রয়োগ করতে হবে। ১৫ দিন অন্তর অন্তর অপারেশনকৃত ঝিনুকগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুক্তা শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্বল। কারণ বাংলাদেশে রয়েছে মুক্তা চাষ উপযোগী আবহাওয়া। মুক্তা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন উষ্ণ আবহাওয়া। আমাদের দেশে প্রায় ১০ মাসই উষ্ণ আবহাওয়া থাকে- যা মুক্তা উৎপাদনে অনুকূল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে জাপান, চীন, ভারত প্রণোদিত উপায়ে মুক্তা চাষ করে প্রচুর বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করছে। মুক্তা চাষে পানির অনুকূল তাপমাত্রা হবে ২২-৩০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড। পুকুরের পানিতে সামান্য প্রবাহ সৃষ্টি করা গেলে ঝিনুকের বৃদ্ধি সাধনে এবং মুক্তা উৎপাদনে সহায়ক হয়। ঝিনুকের খাদ্য গ্রহণ মূলত পরোক্ষ ফুলকার মাধ্যমে। এরা পানিতে বিদ্যমান এলজি, ক্ষুদ্রাকার জুপস্ন্যাংকটন, অণুজীব অর্থাৎ ফাইটোপস্ন্যাংকটন ইত্যাদি জৈব দ্রব্য ছেঁকে খায়। ডায়াটম, গোল্ড এলজি, গ্রিন এলজি, ইউগেস্ননা ইত্যাদি ঝিনুকের উপযোগী প্রাকৃতিক খাদ্য। ঝিনুক চাষের জন্য পানির উপযুক্ত রং হলো হলুদাভ সবুজ এবং স্বচ্ছতা ৩০ সে.মি.। ঝিনুক রাখার জন্য আড়াআড়িভাবে পুকুরে নাইলনের মোটা রশি টানাতে হবে। রশির দুই প্রান্তে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বাঁধতে হবে। পরিমাণমতো ফ্লোট বা ভাসান যুক্ত করে রশিটিকে ভাসমান রাখতে হবে। ঝিনুক নেটের ব্যাগে রেখে দড়ির সাহায্যে নাইলনের সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে হবে। শরৎ, হেমন্ত ও বসন্তে নেট ব্যাগ স্থাপনের গভীরতা হবে ২০ সে.মি. এবং গ্রীষ্মকালে হবে ৩০-৩২ সে.মি.। প্রতিটি নেট ব্যাগে চারটি করে ঝিনুক রাখতে হবে। অপারেশনকৃত ঝিনুক পর্যবেক্ষণে রাখার পর পুকুরে ছাড়তে হবে। পুকুরে পস্ন্যাংকটন জন্মাবার পরপরই রুই, গ্রাসকার্প, মৃগেল ইত্যাদি মাছের পোনা পুকুরে ছাড়তে হবে। অপারেশনকৃত ঝিনুকগুলো ১৫ দিন অন্তর অন্তর পরিষ্কার করতে হবে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক হিসাবে ১০ শতাংশের এক পুকুরে মুক্তা চাষে মোট ব্যয় হবে ২৩ হাজার ৬২৪ টাকা। আয় হবে ৬৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে মুনাফা ৪১ হাজার ৩৭৬ টাকা। সেইসঙ্গে মাছ চাষ থেকে আয় তো রয়েছেই।

দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের পরিমাণ প্রায় ৪৩.৩৭ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে পস্নাবন ভূমিসহ মুক্ত জলাশয় ৪০.৪৭ লাখ হেক্টর। উপকূলীয় চিংড়ি খামারসহ বদ্ধ জলাশয় ২.৯০ লাখ হেক্টর। দেশের ৭১০ কি.মি. তটরেখার কাছাকাছি বেইজ লাইন থেকে সাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত আমাদের অভ্যন্তরীণ জলসীমা। এর প্রায় ১,৬৪,০০০ বর্গ কি.মি. এলাকা দেশের সামুদ্রিক জলসীমা। যা দেশের মূল ভূ-খন্ডের আয়তনের চেয়েও বড়। এ জলসীমার মাত্র ৫০ ভাগ এলাকায় প্রণোদিত উপায়ে মুক্তা চাষ করতে পারলে এক বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।

মুক্তা বিজ্ঞানী ডক্টর আবদুল কাইয়ুম জানান, দেশে মুক্তা উৎপাদনকারী ৫ প্রজাতির মিঠাপানির ঝিনুকের মধ্যে ২ প্রজাতির ঝিনুক ইমেজ মুক্তা উৎপাদনে অধিকতর উপযোগী। কৃত্রিম মুক্তা চাষ ব্যয়বহুল নয়। এছাড়া মাছ চাষের সঙ্গে সম্পূরক খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। ইমেজ মুক্তা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় আকৃতির স্বাস্থ্যবান ঝিনুক বাছাই করা হয়। পরে চ্যাপ্টা আকৃতির বস্তুর প্রতিচ্ছবি ঝিনুকে স্থাপন করে ঝিনুক পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঝিনুক পুকুরে ছাড়ার পর থেকে ৭ থেকে ৮ মাস পরই ওই নকশার ওপর ঝিনুকের আঠালো রস পড়ে হুবহু ওই আকৃতির ইমেজ মুক্তা উৎপাদিত হয়। প্রতি শতাংশে ৮০ থেকে ১০০টি ঝিনুক মজুত করে ইমেজ মুক্তার উৎপাদন ও বৃদ্ধি সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে। অপারেশনকৃত ঝিনুকের বেঁচে থাকার হার ৮০ শতাংশ পাওয়া গেছে। অপারেশনের পর প্রথম মাসে ঝিনুক থেকে ইমেজ বের হয়ে যেতে পারে। তাই অপারেশনের পর প্রথম একমাস ঝিনুক ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ইমেজ মুক্তা আহরণের আগে পুকুরে পরিমিত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং পানির গুণাগুণ নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এতে ইমেজ মুক্তার ঔজ্জ্বল্য ও গুণগতমান ভালো হয়। একটি ঝিনুক থেকে সর্বোচ্চ ১২টি মুক্তা তৈরি সম্ভব। চারটি রংয়ের (কমলা, গোলাপি, সাদা, ছাই) এবং তিন আকারের (গোল, রাইস, আঁকাবাঁকা) মুক্তা পাওয়া গেছে।

দেশে-বিদেশে ইমেজ মুক্তার ব্যাপক কদর রয়েছে। স্বল্প পুঁজিতে গ্রামীণ বেকার নারীরা ইমেজ মুক্তা উৎপাদনে সহজেই সম্পৃক্ত হতে পারবে। তারা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারবে। বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। দেশব্যাপী জরিপ চালিয়ে এ পর্যন্ত স্বাদু পানির ৫ ধরনের মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুক পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে কিছু উন্নত জাতের ঝিনুক সংগ্রহ করে গবেষণা করা হচ্ছে। মুক্তা একটি মূল্যবান রত্ন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে মুক্তা রপ্তানিতে প্রথমে রয়েছে চীন। চীনের উৎপাদিত স্বাদু পানির মুক্তা বিশ্ববাজারের ৯৫ শতাংশ দখল করে আছে। যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার টন। যার প্রায় অর্ধেকেই এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং আমেরিকায় রপ্তানি হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে