মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে বেড়েছে বিদেশি ফলের চাষ

ইমরান ছিদ্দিকি
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

দেশে বেড়েছে বিদেশি ফল চাষ। ড্রাগন, বারোমাসি থাই আম, স্ট্রবেরি, মাল্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এ ধরনের ফলের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে পুষ্টির চাহিদা তো পূরণ হবেই, আমদানি কমিয়ে বাঁচানো যাবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও। কমলার চেয়ে মাল্টার চাষ তুলনামূলকভাবে সহজ। কমলার মতো মাল্টার জাতও আনা হয়েছিল চীন থেকে। জনপ্রিয় হচ্ছে মেক্সিকো, মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রাগন ফলের চাষও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। এর বাইরেও অনেক কৃষি উদ্যোক্তাকে সীমিত পরিসরে বিদেশি রাম্বুটান, পারসিমম, সৌদি খেজুর, খাটো জাতের নারিকেল, ম্যাংগোস্টিন, অ্যাভোকাডো, মাস্কমেলন, রকমেলন সহ বিভিন্ন বিদেশি ফলের বাগান করতে দেখা যাচ্ছে।

এখন হাত বাড়ালেই বিদেশি ফল মিলছে। নানারকমের বিদেশি ফল এতই সহজলভ্য যে, এর জন্য নির্দিষ্ট মার্কেট বা স্থান পর্যন্ত যেতে হয় না, এখানে-ওখানে ফুটপাতে কিংবা ভ্যানওয়ালাদের কাছে পাওয়া যায়। মোটামুটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় দেশীয় ফলের পাশাপাশি মানুষ বিদেশি ফলও কিনছে। এদিকে দেশে বেড়েছে বিদেশি ফল চাষ। ড্রাগন, বারোমাসি থাই আম, স্ট্রবেরি, মাল্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এ ধরনের ফলের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে পুষ্টির চাহিদা তো পূরণ হবেই, আমদানি কমিয়ে বাঁচানো যাবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মদ্রাও। দেশের মাটিতেই এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হচ্ছে থাই পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, থাই কুল, থাই পেঁপে, স্ট্রবেরি, ড্রাগন, মেলন, অ্যাভোকাডো, রাম্বুটান এই ১০ রকম ফল। স্বাদ ও ফলন ভালো পাওয়ায় আমদানি করা ফলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বাজার দখল করে নিয়েছে এগুলো। আমদানি ও দেশে উৎপাদন মিলিয়ে এসব ফল পাওয়া যায় বারো মাস। দামও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। এ ছাড়া পার্সিমন, স্টার ফ্রুট, আঠাবিহীন লাল কাঁঠাল, খেজুর ও থাই শরিফার চাষ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

বিদেশি ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় আপেল। এর পরের অবস্থান মাল্টার। এ দুটি ফলের বাইরে কমলা, ডালিম, আঙুর, নাশপাতি ও লেবুজাতীয় ফল আমদানি হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার টন। মোট আমদানির ৭৭ শতাংশই হচ্ছে আপেল ও মাল্টা। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে আপেল আমদানিতে তৃতীয় ও মাল্টায় ষষ্ঠ। তবে মাল্টা খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে ১৪তম অবস্থান বাংলাদেশের। এক যুগ আগেও দেশে ৫৬ জাতের ফলের চাষ হতো। বর্তমানে ৭২ জাতের ফল চাষ হচ্ছে। আরো ১২ জাতের ফল বাংলাদেশে চাষ উপযোগী করার জন্য গবেষণা চলছে। নতুন করে চাষ শুরু হওয়া ফলের মধ্যে ড্রাগনের ২৩টি প্রজাতি, খেজুরের ১৬টি, নারকেলের দুটি প্রজাতি, কাঁঠালের একটি, আমের তিনটি নতুন প্রজাতি চাষের প্রাথমিক সফলতা পাওয়া গেছে। ফলের এসব জাতের সবই থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। শুধু ফলের উৎপাদন বাড়ার দিক থেকে নয়, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ফল খাওয়ার পরিমাণও গত এক যুগে উলস্নখযোগ্য হারে বেড়েছে। আগে দেশে আম, কাঁঠাল, লিচু, জামসহ কিছু ফল মৌসুম অনুযায়ী খেতে পারত। এখন সারা বছর ২২ জাতের ফল নিয়মিত খেতে পারে।

ড্রাগনসহ বাহারি সব বিদেশি ফল এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। দেশে মাল্টা ও কমলার উৎপাদনও লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। কাজুবাদাম ও কফির আবাদ বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। দেশীয় ফলের মধ্যে আম ও কাঁঠাল এখন সারাবছরই উৎপাদন হচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও মাল্টা ও কমলার পুরো চাহিদা পূরণ হতো আমদানির মাধ্যমে। বর্তমানে দেশীয় উৎপাদন দিয়ে এসব ফলের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ পূরণ সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। বিবিএসের হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ছয় হাজার ১১৯ টন মাল্টা ও কমলা উৎপাদন হয়েছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৭২৬ টন মাল্টা এবং বাকি তিন হাজার ৩৯৩ টন কমলা। ডিএইর কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মাল্টা ও কমলার ফলন ২০ হাজার টনের বেশি হবে।

এদিকে, দেশে মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে ড্রাগন ফলের আবাদ বেড়েছে ১১৬ গুণ। বিস্ময়কর হলেও সত্য, দেশে ফলটির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪০০ গুণ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ১৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলেছিল ৬৬ টন। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড দুই হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের আবাদ হয়েছে। এ বছর ড্রাগনের উৎপাদনেও হয় নতুন রেকর্ড ২৫ হাজার ৭৬০ টন। দেশে ড্রাগন ফলের চাহিদার ৩০ শতাংশই পূরণ হচ্ছে দেশীয় উৎপাদন দিয়ে। এক সময় গুটিকয়েক ফলের বাজারে অভিজাত শ্রেণির জন্য এ ফল আমদানি হলেও এখন পাওয়া যায় ছোট বড় সব বাজারেই। বিবিএসের হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৫ টন ড্রাগন উৎপাদন হয়েছিল। ড্রাগন ভিয়েতনামের জাতীয় ফল। দেশের চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, রাজশাহী, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ড্রাগনের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। মে-জুন থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত ফল দেয় ড্রাগন। এই সময় বাজারে অন্য ফলও তেমন থাকে না। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এক বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করতে দেড় লাখ টাকার মতো প্রয়োজন হয়। চারা রোপণের ১ বছরের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করে। প্রতি বছর এক বিঘা জমি থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার ফল পাওয়া যায়। বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড় এমনকি বাড়ির ছাদেও জনপ্রিয় হচ্ছে ড্রাগন চাষ।

আকর্ষণীয় বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি অত্যন্ত সমাদৃত। স্ট্রবেরি একটি ভিটামিন সি'সমৃদ্ধ ফল হলেও এতে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও এর ব্যবহার আছে। স্ট্রবেরি মূলত শীত প্রধান দেশের ফল। মেলন বা ছোট সবুজ তরমুজও ব্যাপক উৎপাদন হচ্ছে। আলুবোখরা পিচ ও চেরি ফলের নিকটাত্মীয়। আলুবোখরা আদি জন্মস্থান উত্তর আমেরিকা ও জাপান। বড় গাছ ঠান্ডা সইতে পারে। গ্রীষ্মকালে (জুন মাসে) ফল পাকে। আলুবোখরার গাছ বড় হতে একটু সময় নেয়। একটু বেশি বয়স না হলে গাছে ফল ধরে না। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউ জার্মপস্নাজম সেন্টার ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) এর ওপর গবেষণা চলছে। কিছু ব্যক্তিগত নার্সারিতেও ব্যক্তি উদ্যোগে এ ফলের গাছ সংগ্রহ কারতে দেখা গেছে।

টক আতা দেখতে মোটেই আতা বা শরিফার মতো নয়। গায়ে গোটা গোটা দাগ নেই, আছে ফলের গা ভর্তি কাঁটা। ফল পাকলে অবশ্য কাঁটা অনেকটাই মিলিয়ে যায়। ফলটি সারা বিশ্বেই কম বেশি পরিচিত এর ক্রিমের মতো সাদা নরম রসাল সুস্বাদু শাঁসের জন্য। শাঁস সুগন্ধযুক্ত ও টক স্বাদের। শ্বাস প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ। থাই বারোমাসি আমের আরেক নাম কাটিমন। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় চুয়াডাঙ্গার কৃষক আবুল কাসেম এই আমের চাষ শুরু করেন। তার হাত ধরেই এই আমের যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। চারা রোপণের দেড় বছরেই ফল পাওয়া যায়। কাসেমের দেখাদেখি চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহীতে এখন এর চাষ শুরু হয়েছে। জানা যায়, এই আমের মিষ্টতা ২৭ টিএসএস। যেখানে আমাদের দেশের আমের মিষ্টতা ১৫ থেকে ২১ টিএসএস। ঢাকায় এই আম বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়াও বিদেশি ফলের মধ্যে রাম্বুটান নরসিংদী, সিলেট, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৬০টির মতো অ্যাবাকাডোর গাছ রয়েছে। থাইল্যান্ডের উচ্চফলনশীল আম, লিচু ও শরিফা, স্টার ফুড, আঁটা ছাড়া লাল কাঁঠাল, উন্নত জাতের জাম্বুরা দেশে অল্পবিস্তর উৎপাদন হচ্ছে। কেউ কেউ বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চাষ শুরু করেছে। কয়েক বছরের মধ্যে বিদেশি আরো কয়েকটি ফল দেশীয় উৎপাদনের তালিকায় যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি ও খাদ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তথ্য বলছে, মাত্র এক দশক আগেও দেশে জনপ্রতি ফল গ্রহণের পরিমাণ ছিল গড়ে মাত্র ৩৫ গ্রাম। ২০২২ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ গ্রামে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে নীরবে ঘটে চলেছে ফলবিপস্নব। এতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে দেড় দশক ধরে চলা বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প। ফলের উৎপাদন বাড়াতে এর বাইরে ভূমিকা রাখছে আরও কয়েকটি প্রকল্প।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রধান ও অপ্রধান মিলিয়ে ২৫-৩০ জাতের বিদেশি ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় খেজুর, আপেল, আঙুর, কমলা, মাল্টা, আনার ও নাশপাতি। বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে ওই ছয়টি ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে চীন, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ভুটান, মিসর, দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম। এসব ফলের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে সবুজ কমলা ও মাল্টা। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত সবুজ মাল্টা ও কমলাও বাজারে আসছে। একই কারণে ড্রাগন, স্ট্রবেরিসহ অনেক বিদেশি ফলের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে, বাংলাদেশে বছরে ১২ শতাংশ হারে ফলের উৎপাদন বাড়ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম ও পেঁপেতে চতুর্দশতম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দশম। আম, কাঁঠালের বাইরে মৌসুমি ফলের মধ্যে আছে জাম, লিচু, কুল, কামরাঙা, পেঁপে, বেল, লেবু, আনারস, আতা, সফেদা, লটকন, তরমুজ, ফুটি ইত্যাদি। এছাড়া বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফল চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় আম। এক সময় শুধু রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া ও ফজলি আমের ওপর দেশের চাষিরা নিভর্রশীল ছিলেন। এক যুগ আগে আম্রপালি আমের উদ্ভাবন আম চাষের সব ভৌগোলিক বাধা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এখন দেশের মোট উৎপাদিত আমের ৪০ শতাংশ এই জাতের। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে আম্রপালির চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। তবে সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর আম হয়। এমনকি পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে লবণাক্ত অঞ্চল, অনাবাদি সিলেটসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। 'ভিটামিন-এ'সহ অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল কাঁঠালকে বলা হয় মাংসের বিকল্প। সারা বিশ্বে বছরে ৩৭ লাখ টন কাঁঠাল উৎপাদন হয়। সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল হয় ভারতে- যার পরিমাণ ১৮ লাখ টন। দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ, ১০ লাখ টনের বেশি। পুষ্টিমানের দিক থেকে অন্যতম সেরা এ ফলের আমদানি খুব দ্রম্নত হারে বাড়াচ্ছে চীন। তারা মূলত উৎপাদনে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে কাঁঠাল আমদানি করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে