শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাতৃভাষার তাৎপর্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বাঙালি জাতির অগ্রণী ভূমিকায় এ ভাষার উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এ দিবসের মাধ্যম স্বীকৃত হয়েছে বাঙালি জাতির সত্তা, ভাষাসত্তা আর সার্বভৌমত্বের চরম বিকাশ। মাতৃভাষা প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। আর বাংলা ভাষার তাৎপর্য নিয়ে কি ভাবছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা? বিশ্ব ভাষা দিবস উপলক্ষে স্বপ্নবাজ তরুণদের কাছে এ বিষয় নিয়ে মতামত জানতে চেয়েছেন শিক্ষার্থী- মোহাম্মদ এনামুল হক ফজলে রাব্বী ও তানভীর আহম্মেদ
নতুনধারা
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মো. মোজাক্কের হোসেন সুজন

ফেব্রম্নয়ারি মাসে শুধু বাংলা ভাষার কদর!

মাজহারুল ইসলাম শামীম

শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফেনী সরকারি কলেজ

'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'। গানটির সঠিক যথার্থতা আজও কেউ প্রয়োগ করতে পারে না। এই একুশে ফেব্রম্নয়ারি ছিল প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রম্নয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। কিন্তু আজকে এত গৌরবের মধ্যেও হতাশা কিছু আছে। ফেব্রম্নয়ারি মাস এলে যেন শুধু ভাষার মর্যাদার কথা মনে পড়ে। আমরা দেখি, এগারো মাস অবহেলা আর অভাগা দশা। কুম্ভকর্ণ এগারো মাস ঘুমিয়ে একমাস জেগে থাকে। তাই সারা বছর ভাষার প্রতি সমান মর্যাদা দিয়ে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মাতৃভাষা আমাদের আরেক মা

গাজী মো. আরাফাত হোসেন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ

একজন ব্যক্তির জীবনে তিনটি মা থাকে। একটি জন্মধাত্রী মা, মাতৃভূমি মা, অন্যটি মাতৃভাষা মা। এই তিনটি মা সব সময় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে থাকে। মা যেমন সন্তানের কল্যাণের জন্য আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, খেয়ে না খেয়ে বড় করে তোলার জন্য পরিশ্রম করে। তেমনি জন্মপর থেকে প্রকৃতিগত মায়ের ভাষা মাতৃভাষায় বুলি ফোটে স্বাভাবিকভাবে কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া প্রত্যেকে তার মাতৃভাষাতে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বিকশিত হয়ে, নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার সুযোগ থাকে কারণ মায়ের ভাষার নেই কোনো অভিমান, নিজের মতো স্বাভাবিকভাবে সবকিছু এই ভাষাতে রপ্ত করতে পারে। মাতৃভাষা বাদে পৃথিবীর অন্য ভাষা শিখতে যেখানে অর্থ, শ্রম, গবেষণার প্রয়োজন হয়, তারপরও ভালোভাবে রপ্ত করা যায় না সেখানে মাতৃভাষা বিনামূল্যে প্রকৃতিগতভাবে জন্মের পর থেকে মুখে বুলি ফোটে।

রক্ত দিয়ে কেনা আমার বর্ণমালা

মো. মেহেদী হাসান জিসাদ

বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ঢাকা

ভাষা হলো পরস্পরের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। যদিও এটা বলা কঠিন যে মানুষ কবে থেকে প্রথম কথা বলতে শিখেছে। প্রস্তর যুগে যখন প্রাচীন মানুষ কেবল গাছের ফলমূল আর শিকার করে আনা বনের পশুপাখির মাংস খেয়ে দিব্যি বেঁচে থাকত, তখন থেকেই নিজেদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ বা ভাব বিনিময়ের জন্য বাধ্য হয়েই তারা ভাষা তৈরি করেছিল। ক্রমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে লাগল ভাষা ও তার বিস্তার। দিনকালের গতিময়তার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে এক ভাষা থেকে সৃষ্টি হলো আরও বহুবিধ ভাষার। কালের নিয়মে ভাষায় এসেছে রদবদলও।

বাংলা ভাষার কথোপকথন

মো. মোজাক্কের হোসেন সুজন

বিএ (অনার্স), এমএ (বাংলা), চট্টগ্রাম কলেজ

পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজার ভাষা প্রচলিত আছে, মাতৃভাষার বিবেচনায় বাংলা ভাষার স্থান চতুর্থ এবং প্রায় ত্রিশ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা, এ বিষয়ে আমরা প্রত্যেকে অবগত আছি। কিন্তু তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করেছে বাঙালি যা পৃথিবীর অন্য ভাষার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা নেই। ১৯৫২ সালে, ফেব্রম্নয়ারি ২১ তারিখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যে ভাষা পৃথিবীর বুকে স্থান করে নিয়েছে, সে ভাষা আজ ভিন্নরূপে উপস্থিত। ভিন্নরূপ এ জন্যই বলেছি কারণ ইংরেজি, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে বাঙালি অথচ মাতৃভাষার ইতিহাস এবং এর শুদ্ধাশুদ্ধি ব্যবহার করার ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ। সরকারি বিভিন্ন অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ভুল প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।

ভাষার অপব্যবহার রোধ করি

কেএম ছালেহ আহ: বিন জাহেরী

আল হাদিস বিভাগ, মৌকারা ডিএসএন কামিল মাদ্রাসা

নাঙ্গলকোট, কুমিলস্না

আক্ষরিক বিবেচনায় ভাষা শব্দটি ছোট হলেও এর তাৎপর্য অমূল্য কম নয়, কেননা এর সঙ্গে মিশে আছে হাজারো ভাষাপ্রেমী শহীদদের রক্ত, আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম। ফেব্রম্নয়ারি মাস এলেই পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করি সেই ভাষা-শহীদদের, সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না-জানা আরও অনেকেই, যাদের তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি মাতৃভাষা। তাদেরই আত্মত্যাগের বিনিময়ে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর, ইউনেস্কো থেকে ঘোষণা করা হয়, (২১ ফেব্রম্নয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটি বাঙালি জাতির নিকট, আত্মত্যাগ, শ্রদ্ধা ও গৌরবের মাস।

বর্তমানে চলছে সেই ভাষার অবাধ অপপ্রয়োগ। ভিনদেশি সংস্কৃতিচর্চায় হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য। প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে অতিমাত্রায় ইংরেজি ভাষাকে। দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ড, বাড়ির নাম, দোকানের নামফলক, ডাক্তারের ব্যবস্থাপনা, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি লেখা হয় ইংরেজিতে। ভাষা ব্যবহারে এমন অবহেলা খুবই হৃদয়বিদারক। মায়ের কাছে শেখা ভাষা মায়ের মতোই পবিত্র।

একুশ সব অপশক্তিকে বারবার রুখছে

প্রজ্ঞা লাবণী গোলদার

ভেট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমাল হাজবেন্ড্রি বিভাগ

৪র্থ বর্ষ, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ

২১ ফেব্রম্নয়ারি বাঙালি জাতির পরিচয়চিহ্ন। তবে এটি তো এককথায় বলার বিষয় নয়। একুশে ফেব্রম্নয়ারির চেতনা বিভিন্নভাবে আমাদের ভিত্তি নির্মাণ করেছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের দেশের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক বটে, যা তখনকার রাজনীতির ধারাকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকেই দেশের বড় বড়, তীব্রতর আন্দোলন হয়েছে এই আন্দোলনের সূত্র থেকেই। অভু্যত্থানও হয়েছে। তাই একুশকে শুধু ভাষা আন্দোলনের দৃষ্টিতে দেখলে ভুল হবে। এটা ছিল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অংশ, অধিকার আদায় আর স্বাধীন বাংলাদেশের পটভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ আর বাংলার নিজস্ব ভাষার মধ্যে বাঙালির পরিচয় বহনে একুশ ছিল মাইলফলক। একুশের মধ্যে আমরা বাঙালি সত্তাকে খুঁজে পাই।

বাংলাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদেরই

সাকলাইন সাইফুলাহ

২য় বর্ষ, রসায়ন বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ভাষা। বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা। এটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথটা এত সহজ ছিল না। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে বাংলা ভাষা পেয়েছে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলা ভাষা। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রে তার ব্যবহার ও প্রচলন হয়নি। ব্যবসায় বাণিজ্য, অফিস আদালত, উচ্চতর শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলা ভাষাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমরা যদি জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসন লাভ করতে চাই তাহলে উচ্চতর পর্যায়ের বইগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বিদেশি ভাষার প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চা করা এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে এর প্রতি ভালোবাসা প্রদান করা আমাদের কর্তব্য। উন্নত দেশ যেমন- চীন, জাপান, ফ্রান্সের মতো আমরাও মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাসহ জীবনের সব কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারি। আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা বাঙালিরাই প্রথম জাতি, যে জাতি পৃথিবীতে তাদের মাতৃভাষাকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল,, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল, সে রক্ত বৃথা যায়নি, পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। তাই বাংলাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমাদের নিতেই হবে।

বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

তমালিকা রায়

চতুর্থ সেমিস্টার, গণিত বিভাগ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

ভাষা প্রত্যেকটা মানুষের আত্মপরিচয় অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একুশে ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাঙালির আত্মপরিচয়ের দিন। এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা রক্তের বিনিময়ে রচিত হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের গৌরবপূর্ণ ইতিহাস। পৃথিবীর বুকে বাঙালি একমাত্র জাতি যাদের আত্মপরিচয়কে জয় করার গৌরব রয়েছে এবং পুরো বিশ্ববাসী শ্রদ্ধাভরে প্রতি বছর পালন করে। ইউনেস্কো দিয়েছে আন্তর্জাতিক মর্যাদা। তাই বাঙালি হিসেবে 'একুশে ফেব্রম্নয়ারি' এই দিনটি আমার কাছে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু এই দিনটিতে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে পেয়েছিলাম, তাই এই দিনটিতে আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে পেয়েছিলাম। তাই এই দিনে শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি রেখে আমাদের সবার উচিত বাংলা ভাষার সর্বোচ্চ ও শুদ্ধ ব্যবহার করার। বাঙালি হিসেবে আমার চাওয়া সব বাংলা ভাষাভাষী শুদ্ধ বাংলা চর্চা করুক এবং বাংলার সঙ্গে বিভিন্ন ভাষা মিলিয়ে যে ত্রম্নটিপূর্ণ ভাষার ব্যবহার হচ্ছে তা বন্ধ হোক।

বাংলাকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই

মো. ফাহিম আল হাসান

ফ্যাকাল্টি অফ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্সেস

২য় বর্ষ, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাভার, ঢাকা

'শহীদ দিবস' ছোট্ট একটা শব্দ বটে এর ব্যাপ্তি বিশাল। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য জীবন দেওয়া একমাত্র জাতি বাঙালি। মায়ের ভাষায় কথা বলার যে তৃপ্তি তা আর কোনো ভাষায় পাওয়া যায় না তাই তো বাংলার দামাল সৈনিকরা অকাতরে প্রাণ দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। প্রতি বছর ২১ ফেব্রম্নয়ারি এলে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে শ্রদ্ধাভরে শহীদদের স্মরণ করা হয়। দুঃখের বিষয় এই আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া ভাষার যে গুরুত্ব, ভাষাকে বিদেশি ভাষা হতে রক্ষা, মর্যাদা রক্ষা করা, বহির্বিশ্বে বাংলাকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরা, ভাষার বিকৃতি হতে রক্ষা করা, সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রচলন এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। অথচ ভাষা আন্দোলনের মূল্য লক্ষ্য ছিল এটিই। তাই তো এটাই বলতে চাই, একুশ আমার অহংকার, পুরো বাঙালি জাতির অহংকার। হাতে হাত কাঁধে কাঁধ রেখে পুরো বাঙালি জাতি বাংলা ভাষাকে বহির্বিশ্বের বুকে সম্মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে বাংলাদেশের পেক্ষাপট ঐতিহ্য বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে