শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তারুণ্যের আকাশছোঁয়ার উচ্ছ্বাস

আশিক ইসলাম
  ১১ জুন ২০২২, ০০:০০

শূন্যে লাফিয়ে মাথার হ্যাটগুলো নীল আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছেন। আকাশ পানে চেয়ে আবার তা ধরার চেষ্টা করছেন। আর এরই মধ্যে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক আওয়াজে ফ্রেমে বন্দি করে নিচ্ছেন অনেকে। নীল গাউন, টুপি পরা গ্র্যাজুয়েটদের এমন আনন্দে প্রাণ ফিরে পেয়েছিল পুরো ক্যাম্পাস। বলছিলাম রাজশাহী অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় 'বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়'-এর সমাবর্তনের কথা।

রোদের সোনালি একটি দিন। মাথার উপর আগুন-গরম সূর্য। সে সবকে থোড়াই কেয়ার করে আনন্দোৎসবে মেতে উঠেছিলেন নবীন গ্র্যাজুয়েটরা। হাতের মুঠোয় পরম আরাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অর্জিত সনদ। সকাল থেকেই গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। ব্যানার, ফেস্টুন আর রঙিন আলোয় সাজানো পুরো প্রাঙ্গণ। উলস্নাস-উচ্ছ্বাসের আলোকছটার দিনে মহোৎসবে মেতে ওঠেন সবাই।

জীবনের পুরনো দিনের পাতায় নানান স্মৃতি পাখা মেলেছে মনের দুয়ারে। গ্র্যাজুয়েটরা এক পলকে হারিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কাটানো হাজারো স্মৃতির সময়গুলোতে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মেহেদী হাসান বলেন, অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে আবারও দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। এতদিন পর ফেরার সে আনন্দ ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা বলেন, অনেক দিন জুনিয়র, সিনিয়র সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পারছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখানে আসি তখন তো সবকিছু নতুন ছিল কাউকে চিনি না। আর এখন তো গ্র্যাজুয়েশন শেষ

করেছি এখন পুরো ক্যাম্পাসের মোটামুটি সবাই পরিচিত। এখন এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে পুরো ক্যাম্পাসটাই আমার। এতদিন যে তারা স্বপ্নে বীজ বুনেছিলেন তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিতেই ক্যাম্পাসে ছুটে আসা গ্র্যাজুয়েটদের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি তারা। স্বপ্নে সারথি যারা তাদের নিয়ে সমাবর্তনের দিনটিতে তাদের কাছে পাওয়ার সুযোগ। বাবা-মাকে নিয়েই আনন্দে মেতেছেন সৌভাগ্যবানদের কেউ কেউ। তাদেরই একজন পাবলিক হেলথ্‌ বিভাগের শশী। মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সমাবর্তনে। তিনি বলেন, মামনিকে নিয়ে সমাবর্তনে আসতে পেরেছি। এটা অন্য রকম অনুভূতি। একটা মেয়ে যে ঘর-সংসার সামলে লেখাপড়াও করতে পারে তার প্রমাণ আমি। তাই অন্য সবার থেকে আমার অনুভূতিটা একটু ভিন্ন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই সমাবর্তনে তিনটি অনুষদভুক্ত দশটি বিভাগের ১ হাজার ৫২৭ জনকে সনদ প্রদান করা হয়। দুজন গ্র্যাজুয়েটকে 'চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল' এবং নয়জনকে 'ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল' অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে