শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনায় তেইশ

মোহাম্মদ ফয়সাল
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সকলে। ২০২২ সালটি করোনাপরবর্তী বছর ও এর ধাক্কা সামলে উঠে জনজীবনে ফিরেছে প্রাণের সঞ্চার। মহামারির ধাক্কা সামলে থমকে যাওয়া অর্থনীতি, জনজীবন স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে এই আশায় বুক বেঁধেছিল মানুষ।

কিন্তু করোনা শেষ হতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি তেলের ব্যাপক দাম, অস্থিতিশীল খাদ্যশস্যেরর বাজার সবমিলিয়ে অর্থনীতি অস্থিতিশীল এই বাজারে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরাও। এই প্রভাব শারীরিক ও মানসিকভাবে পড়ছে তাদের মধ্যে।

২০২৩ সালে নতুন বছরকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কী চিন্তা করছেন তা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য তুলে ধরেন কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল।

পেছনে তাকালে আমরা দেখি ২০২০ সালের করোনা মহামারির ক্ষতি ২০২১ কিংবা ২০২২ সালের পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। করোনা মহামারির কারণে আমাদের জীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়েছে, তেমনিভাবে ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনারও।

আমি চাই সব শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে শারীরিক, মানসিক, প্রযুক্তিগত, কারিগরি, তথ্যগত চিন্তাধারার বিকাশ হোক যা আমাদের দেশকে একটি সমৃদ্ধিশীল দেশে পরিণত করবে এবং কারিগরি ও প্রযুক্তিতে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হচ্ছে, আমাদের দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে ধর্ষণমুক্ত হবে, পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সবাই এক হয়ে কাজ করবে।

\হ

নজরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

\হ

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে মানবসম্পদ তৈরির বিকল্প নেই। পাশাপাশি আমাদের দেশের জাতীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। চলমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে টিকে থাকতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে এবং প্রযুক্তি খাত নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজাতে হবে! সেই জন্য সরকারের উচিত প্রযুক্তি খাত আর শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দেওয়া। পাশাপাশি বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে হবে।

\হ

মোহাম্মদ জোবায়ের, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

\হ

নতুন বছরে প্রত্যেক মানুষের একটি নতুন স্বপ্নের আবির্ভাব ঘটে। সেই স্বপ্ন নিয়েই শুরু হবে নতুন বছরের। বর্তমান বিশ্বপ্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষানির্ভর তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এবং দেশ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের অবশ্যই প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রে এগিয়ে আসতে হবে।

দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরিতে ব্যর্থ হলে দেশের একটা গোটা প্রজন্মই বেকারত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে পড়বে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত এবং সহযোগিতা করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাই হবে নতুন বছরের বিদ্যাচর্চার মূল আকর্ষণ, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে এই প্রত্যাশাই থাকবে নতুন বছরে।

\হ

সাইয়েদুল ইসলাম চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়।

\হ

বছর শেষ হয় বছর আসে; কিন্তু আমাদের আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে এই নতুন বছরে আমার চাওয়া থাকবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যেখানে মুক্তমনা মানুষের অবাধ বিচরণ থাকবে এবং মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে যাতে রাজনৈতিক কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সঙ্গে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রযুক্তি, গবেষণা খাতে সবার অবদান রাখার মতো যোগ্য হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করবে এই প্রত্যাশা।

\হ

আব্দুলস্নাহ্‌ জব্বার, অর্থনীতি বিভাগ, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে