মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যে ফটক বহন করে একাত্তরের ইতিহাস

আসিফ হোসেন
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের কালো হাত থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ করতে হয়। কতশত ইতিহাস, কত গল্প আর লাখো মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আমরা আজ স্বাধীন। মুক্তিযুদ্ধের এমনই ইতিহাস ধারণ করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে সাভারের স্মৃতিসৌধের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মূল ফটক।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে সবসময়ই মুক্তমনা চিন্তার চর্চা হয়। তারই ধারাবাহিকতা আমরা দেখতে পাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে। যেখানে ফুটে উঠেছে ১৯৭১-এর প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। তাছাড়া ভিতরের ফটকে দেখতে পাই বাংলার ইতিহাসের মহীয়সী সব নারীদের।

ক্যাম্পাসে ঢোকার পূর্ব মুহূর্তেই চোখ আটকে যায় গবির মূল ফটকে। মনে পড়ে যায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। যেখানে পোড়ামাটির ফলকে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম, পাক-হানাদার বাহিনীর নিরীহ বাঙালিদের উপরে পৈশাচিক নির্যাতনে দৃশ্য। ছবিগুলো মনের কোনো এক কোণে বারবার দাগ কেটে যায়। তবে ফটকটির মাঝ বরাবর রয়েছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণের দৃশ্য।

তা ছাড়া বাংলার ইতিহাসের মহীয়সী সব নারীর ছবিও দেখতে পাওয়া যায়। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, কামিনী রায়, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ইলা মিত্র, জাহানারা ইমামদের ছবি দেখে অনুপ্রেরণা পায় ক্যাম্পাসের মেয়েরা।

এ ছাড়া গণ বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় ব্যতিক্রমী চিন্তার জানান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সবসময়ই সমাজে অবহেলিত হয়ে থাকে। তবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রম। এখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করে তৃতীয় লিঙ্গের লোকেরা। এমনকি বাংলাদেশের প্রথম নারী গাড়িচালকও গণ বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে