বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

১০১ একরে কুয়াশাঘেরা রূপসীময়ী শীত

তাসনিম আহম্মদ
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে যেন এক সবুজ দিগন্ত ঘুমিয়ে আছে। ভেজা শিশির আর ময়না দ্বীপ থেকে ভেসে আশা

অতিথি পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে সৃষ্টি হয় অতি প্রাকৃতিক দৃশ্যপট। এই দৃশ্যপট যে কোনো মানব হৃদয়কে

ছুঁয়ে যাবে। শীতকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস যেন কোনো রূপকথার

দেশের অংশ। বিশেষ করে কুয়াশাঘেরা শীতের সকালগুলো যেন কোনো এক স্বপ্নপুরীর সকাল।

অন্য কোনো ঋতুর মতো কর্মচাঞ্চল্য না থাকায় যেন শীতের সকালে হঠাৎ থমকে দাঁড়াতে হয়। এই চেনা ক্যাম্পাসও হয়ে ওঠে যেন খুব অচেনা। কুয়াশার পর্দা চারদিক থেকে ঘিরে রাখে ভার্সিটির সেন্ট্রাল ফিল্ডটিকে। বেলা অবেলায় সেন্ট্রাল ফিল্ডে খেলাধুলায় মত্ত থাকা শিক্ষার্থীকেও সময় কাটাতে হয় রুমের ভেতরে। নীল দীঘির নীলিমা যেন তার আসল রূপ ফিরে পায় এই সময়। নীল দীঘির স্থির পানি দেখে কখনো এক বিশাল আয়না ভেবে ভুল হয়। তার ওপর আশপাশ থেকে ভেসে আসা বুনো গাছপালা আর ঘাসের গন্ধের মিশ্রণ পুরো পরিবেশকে এনে দেয় অতিলৌকিক মাত্রা।

ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকলে হঠাৎ শুনতে পাওয়া যায় কোনো অচেনা পাখির ডাক। ভার্সিটির ক্যাম্পাসে থাকা কুকুরগুলো শুয়ে থাকে গুটিসুটি হয়ে। মনে হয় স্তব্ধ ক্যাম্পাসে তখন তারাই একমাত্র বাসিন্দা। এভাবেই ধীরে ধীরে সময় বাড়ে। একটু দেরিতে হলেও সূর্যমামা আত্মপ্রকাশ করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। প্রথম দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণা বাড়তে থাকে। এভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়। গরম চায়ের কাপ হাতে আড্ডায় মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যে হতে হতে হলগুলোতে আলো জ্বলে ওঠে। শেষ লাল বাসটি যখন ক্যাম্পাস ছাড়ে তখন থেকে আবার নীরবতা নেমে আসতে থাকে। অন্য সময়ের তুলনায় যেন একটু দ্রম্নতই রাত হয়ে আসে ক্যাম্পাস। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা, শিশিরে সিক্ত হয়ে ওঠে ঘাসগুলো। আর এভাবেই শীতের রজনীতে কুয়াশার চাদরের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় সবার প্রিয় ক্যাম্পাসটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে