শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

এনএসএসিইউয়ানদের ঈদ মিলনমেলা

মো. মারুফ মজুমদার
  ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
এনএসএসিইউয়ানদের ঈদ মিলনমেলা

এপ্রিল ১২, দিনটি স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে ২০০৫ সালে গঠিত হওয়া নাঙ্গলকোট স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসএসিইউ)-এর সব পাবলিকিয়ান শিক্ষার্থীর কাছে। এক ঝাঁক সতেজ-সবুজ তরুণ বুদ্ধি দীপ্ত আগামীর উজ্জ্বল নক্ষত্রের মিলনমেলায় ভরে উঠেছিল নাঙ্গলকোট উপজেলা অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণ। সেই সাথে পরিদর্শন করল বঙ্গবন্ধু তনয়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত সদ্য নির্মিত মডেল মসজিদটির সুনিপুণ সৌন্দর্যখচিত নির্মাণশৈলীটি; যা প্রশংসনীয়। সিয়াম-সাধনা শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদের এই মহাখুশির রেশকে যোজনহারে বাড়িয়ে দেওয়ার নিমিত্তে আয়োজিত এই ঈদ পুনর্মিলনী নিঃসন্দেহে অমোঘ নির্ঘোষ।

সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করে মাঠ-প্রাঙ্গণ তখন জমে ওঠে পাবলিকিয়ানদের আড্ডায়। বিকেলের গৌধুলি লগ্নের যে রক্তিম আবহ তা অপেক্ষার প্রহর গণনা শুরু হয়। নিত্যদিনের ব্যস্ততা বই-খাতা, আড্ডা, ক্লাস, অতঃপর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরার ঘটনার বিপরীতে সবার অপেক্ষা মুয়াজ্জিনের সুমধুর আজানের ধ্বনির। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে আয়োজনের প্রবর্তনা ঘটে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের সাবেক সচিব আবু তালেব, চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক প্রশিক্ষক শামসুদ্দিন শিশির স্যার, উপকর কমিশনার মাসুদুল হক মাসুদ, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চট্টগ্রামের ভাইস প্রিন্সিপাল ফিরোজ আহম্মদ, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাদাত কাউছার, সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলু, ওমর ফারুক ভূঁঁইয়া, এনএসএসিইউ'র সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যরা। যাদের বক্তৃতায় ফুটে উঠেছে তেজোদ্দীপ্ত তারুণ্যের জয়ধ্বনি ও পারস্পরিক দৃঢ় বন্ধনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব- যার অন্তর্নিহে রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের দারুণ উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা।

শুরু হয় সিনিয়র-জুনিয়র আড্ডা, হাস্যোজ্জল, উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয় চারিপাশ। হবে নাইবা কেন? সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রের সালামি গ্রহণ, সারাদিনের ক্লান্তির রেশটুকু আর রইল না। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। নাঙ্গলকোট ও এই জনপদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

হৈ-হুলেস্নাড় শেষে প্রাঙ্গণে ফের পিনপতন নীরবতা নিয়ে আপন নীড়ে ফেরা। একদিন এই নীরবতা ভেঙে ব্যস্ততা ফিরবে। তবে এই সন্ধ্যার মুগ্ধতা থেকে যাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রাণে ও মননে। সময়ের পরিক্রমায় ভালোবাসার এই মিলনমেলায় হয়তো ছেড়ে চলে যেতে হবে অনেককে, শুধু স্মৃতিপটে থাকবে বন্ধুদের সাথে কাটানো এত দিনের মধুর সময়গুলো- তখন শুধুই স্মৃতি রোমন্থন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে