শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব

মোঃ আব্দুর রহমান
  ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
পাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব

প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় একটি শালিক পাখি ওদের দরজার ওপরে বসে থাকে। আর তাতেই রাগ করে পাখিটার দিকে ঢিল ছুড়ে মারে নয়ন। আর আচ্ছা বকা দেয় পাখিটাকে। মুখপোড়া আমাকে প্রতিদিন জ্বালাতন করিস কেন? যা এখান থেকে চলে যা। আর যাতে কখনো তোকে এখানে না দেখি। ওর মা বলে, 'থাক বাবা ঠিক আছে, এভাবে বকতে নেই।'

কিন্তু নয়ন বলে, 'না মা, তুমি জান না। এরা খুব নোংরা। পচা খাবার খায়, ময়লা পানিতে গোসল করে।'

ছেলের কথা শুনে ওর মা হেসে বলে, 'বাবা, কাউকে অবহেলা করতে নেই। কোনো এক সময় শালিকটাও তোমার বড় উপকারে আসতে পারে। যাও বাবা এখন স্কুলে যাও।'

এবার প্রতিদিনের মতো আজও বিকালবেলাপ্রন্ধুদের সঙ্গে খুব আনন্দের সাথে ঘুড়ি উড়াচ্ছে নয়ন। কিন্তু আজ হঠাৎ নয়নের ঘুড়িটা এসে পাশের কাঁঠাল গাছটার সঙ্গে গেল। এবার তো নয়ন রীতিমতো কাঁদতে শুরু করল। ওর কান্না শুনে ওর মাও ছাদে চলে আসল এবং বলল, 'থাক বাবা, কাঁদে না, তোমার বাবাকে বলব আর একটি নতুন ঘুড়ি কিনে দিতে। তবুও তুমি কেঁদ না বাবা।'

কিন্তু, নয়ন কিছুতেই শুনছে না। কারণ এটা তার খুব প্রিয় ঘুড়ি। এর মাঝেই হঠাৎ সেই শালিক পাখিটা কোথা থেকে এসে ডালটায় বসল। পাখিটাকে দেখে আরও রেগে গেল নয়ন! কিন্তু, এবার পাখিটা ওর পাখা দিয়ে জোরে পাতাগুলো নাড়া দিল। আর তাতেই ঘুড়িটা নিচে পড়ে গেল। এবার তো নয়ন মহাখুশি! তাই তো ওর মা হাসতে হাসতে বলল, 'দেখলে বাবা বলেছিলাম না শালিক পাখিটাও একদিন তোমার উপকারে আসতে পারে।'

তারপর শালিকটার সঙ্গে নয়নের খুব বন্ধুত্ব হলো। এখন প্রতিদিন স্কুলে থেকে আসার পর পাখিটাকে সে খুঁজে। এমনকি ওকে খেতেও দেয়। আর বিকালে হলেই ঘুড়ি উড়ানোর সময় শালিকটাও রোজ ছাদে এসে বসে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে