তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএসের যোদ্ধাকে বিয়ে করা এক নারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে জার্মানিতে। অভিযুক্ত নারী জার্মানির নাগরিক। বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় তিনি 'একাধিক আইএস সদস্যকে' বিয়ে করেছিলেন।
জার্মানির আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কারও পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। এ কারণে গত অক্টোবরে ফ্রাঙ্কফুর্টে গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইয়ালদা এ. হিসেবে উলেস্নখ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কার্লসরুহের প্রসিকিউটর জেনারেল। বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই নারীর বিরুদ্ধে আইএসের হত্যা, নির্যাতন কাছ থেকে দেখা এবং তাদের কর্মকান্ডকে সমর্থন দেওয়ায় ওই নারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইয়ালদা এ. জার্মানি থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সেখানে গিয়ে তিনি আইএসে যোগ দেন এবং এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন।
প্রথমে তাল আবিয়াদে থাকলেও পরে রাকা শহরে চলে যান ইয়ালদা এ.। শুধু আইএস যোদ্ধার স্ত্রী হয়ে থাকেনইনি, প্রসিকিউটর জেনারেলের বিবৃতি অনুযায়ী, হত্যা, নির্যাতনসহ আইএসের সব কর্মকান্ড খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আইএসের সব কর্মকান্ড সমর্থন করতেন বলে নিজের সন্তানকেও একই আদর্শে বিশ্বাসী করে তোলেন ইয়ালদা।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে এক যুদ্ধে ইয়ালদার স্বামী মারা যায়। তারপর সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় এবং অক্টোবর মাসে তৃতীয় বিয়েও করেন তিনি। তারপর সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর মায়াদিনে চলে যান ইয়ালদা। তৃতীয় স্বামী এক ইয়াজিদি নারীকে নিয়ে এসেছিলেন দাসী হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, সেই নারীকে অকথ্য নির্যাতন করতেন ইয়ালদা।
ইয়াজিদি নারীকে তার স্বামী ধর্ষণ করত এবং ইয়ালদা তা কাছ থেকে দেখতেন- এমন অভিযোগও রয়েছে ইয়ালদার বিরুদ্ধে। বিবৃতিতে ইয়াজিদি নারীকে নির্যাতনের বিষয়ে প্রসিকিউটর জেনারেল বলেন, 'তিনি (ইয়ালদা) প্রায় প্রতিদিনই ওই নারীর (ইয়াজিদি) ওপর নির্যাতন চালাতেন। নিয়মিত ওই নারীকে ঘুষি, লাথি মারতেন, চুল ধরে টানতেন, মাথা ঠুকে দিতেন দেয়ালের সঙ্গে।'
২০১৭ সালের শেষ দিকে সিরিয়া ছাড়তে চেয়েছিলেন ইয়ালদা এ.। কিন্তু কুর্দি যোদ্ধারা তাকে ধরে ফেলে। জার্মানিতে ফেরার আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন ইয়ালদা এ.।