খুনের অভিযোগে বাবাকে যখন পুলিশ আটক করে মেয়েটির বয়স তখন মাত্র ২ বছর। বড় হয়ে ওঠা মায়ের কাছে। ১৯ বছর বয়সে এসে মেয়ে খবর পেলেন ওই মামলায় বাবাকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত। এরপর প্রশাসনের কাছে দৌড় দেন মেয়ে।
বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে বাবাকে মেরে ফেলার মুহূর্তটুকু দেখতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। যদিও ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। আর কয়েকদিন বাদেই বাবার মৃতু্যদন্ড কার্যকর হবে। তার আগে ভগ্নহৃদয়ে আবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন মেয়ে।
ঘটনাটি ২০০৫ সালের। আমেরিকার মিসৌরিতে খুন হয় এক পুলিশ অফিসার। অভিযুক্ত কেভিন জনসনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন কেভিনের বয়স ছিল ৩৭ বছর। মেয়ের ২। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর জেল খেটেছেন তিনি। সম্প্রতি ওই খুনের মামলায় তার মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আগামী সপ্তাহেই কেভিনের শরীরে ফোটানো হবে বিষ ইঞ্জেকশন। বাবার জীবনের শেষ মুহূর্ত দেখতে চেয়ে 'আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন' (এসিএলইউ)-এর কাছে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করেন ১৯ বছর বয়সি কোরিওনজার্ যামে। ওই আবেদন পৌঁছায় মিসৌরি আদালতে। তবে পত্রপাঠ সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তি মৃতু্যদন্ড চাক্ষুষ দেখতে পারবেন না।
যদিও কোরিওনজার হয়ে আদালতে এসিএলইউ দাবি করে, এতে একজন ১৯ বছর বয়সি নাগরিকের নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। বাবাকে শেষ বার দেখতে চাইছেন মেয়ে। তার এই ইচ্ছা পূরণ করা হোক। কিন্তু সেটাও নাকচ করেছেন আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, আইন সবার জন্য সমান। তাই এই আবেদন গ্রাহ্য হবে না।
আদালতের এই রায় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, আধুনিক সমাজে কোনো ব্যক্তিকে মৃতু্যদন্ড দেওয়াই রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার পরিচয়। তাকে হত্যার শামিল।