রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিলিপাইনে শরিয়া আদালত পরিচালিত হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

ফিলিপাইনের আইন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শরিয়া আদালত পরিচালনা বিষয়ক প্রস্তাবিত বিলটি তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে পাস হয়েছে। এর ফলে মুসলিম ট্রাইবু্যনালের আদালত পরিষেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত বিলটি সম্প্রতি আইন সভায় পাস হয়। তবে প্রস্তাবিত বিলটি আইন হিসেবে পাস হওয়ার আগে ফিলিপাইনের সিনেট থেকেও অনুমোদন পেতে হবে। আশা করা হচ্ছে, ফিলিপাইনের সিনেটেও আইনটি দ্রম্নত পাস হবে।

শরিয়া আদালতের সহজীকরণের এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিপাইনের মুসলিম আইন বিষয়ক সহায়তাকারী সংস্থা দ্য ন্যাশনাল কমিশন অব মুসলিম ফিলিপিনো (এনসিএমএফ)। যেসব অঞ্চলে সরাসরি কোনো শরিয়া আদালত নেই, সেখানকার মুসলিমদের এই সংস্থাটি প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার অনুমোদন পাবে।

এনসিএমএফের মুখপাত্র ইউসুফ মানদো বলেন, শরিয়া আদালতের ইতিবাচক উন্নয়নকে এনসিএমএফ সাধুবাদ জানায়। আমাদের অধিকাংশ ক্লায়েন্টের আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

শরিয়া আদালত পরিষেবার ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া তাদের ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে, যারা এমন স্থানে বসবাস করে যেখানে কোনো শরিয়া আদালত নেই। এটি সবার জন্য ন্যায়বিচারের সমান সুযোগ তৈরি করবে।

এনসিএমএফ নিজস্ব আইনবিষয়ক বু্যরোর মাধ্যমে বিবাহ, জন্ম ও মৃতু্য সনদসহ মুসলিমদের প্রয়োজনীয় নথিপত্রের জন্য একটি ডিজিটাল পস্ন্যাটফরম তৈরি করবে। এ ক্ষেত্রে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সমন্বয় থাকবে।

মানডো বলেন, 'আমরা কংগ্রেসকে বিশেষ করে বিলটির লেখকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা ফিলিপাইনের মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষায় আমাদের আইনবিষয়ক বু্যরোকে সুদৃঢ়করণে সহযোগিতা করেছে। এই পর্যায়ে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি, বিলটি সিনেটের পক্ষ থেকে পাস হবে এবং আইন হিসেবে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হবে।'

ফিলিপাইনে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১১০ মিলিয়নের মধ্যে ৬ শতাংশের বেশি মুসলিম রয়েছে। তাদের বেশির ভাগই দেশটির দক্ষিণে মিন্দানাও ও সুলু দ্বীপপুঞ্জ এবং মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পালাওয়ানে বাস করে।

১৯৭৭ সাল থেকে ফিলিপাইনের মুসলিমদের জন্য রয়েছে মুসলিম শরিয়া আদালত। সেই বছরের ৭ ফেব্রম্নয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট ফারদিনান্দ মারকোস সুপ্রিম কোর্টের আওতায় এর অনুমোদন দেন। বর্তমানে দেশটির পাঁচটি জেলায় শরিয়া আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে