বরগুনা সদর উপজেলার খাকবুনিয়া গ্রামে একটি পোষা কুকুরকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন কুকুরের মালিক আনিসুর রহমান। গত মঙ্গলবার সকালে বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন তিনি। আদালতের বিচারক মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

আসামিরা হলেন- মো. রাকিব পঞ্চায়েত (৩০), মো. মাওলা পঞ্চায়েত (৪৮) ও মো. আবু পঞ্চায়েত (৫৫)। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার খাকবুনিয়া গ্রামে।

বাদীর আইনজীবী মো. নেপোলিয়ন বলেন, আসামিরা গত রোববার ফাঁদ পেতে বাদী আনিসুরের একটি পোষা কুকুরকে পিটিয়ে ও লোহার টেঁটা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। কুকুরটির পাঁচটি দুধের ছানা রয়েছে। এ ঘটনায় আজ বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাণিকল্যাণ আইন-২০১৯ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর .... ধারায় মামলা নিয়েছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ঘটনাস্থলে জাল, দড়ি দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে রাখেন। আনিসুর রহমানের পোষা কুকুরটি ফাঁদে আটকালে পরে লোহার টেঁটা দিয়ে হত্যার প্রস্তুতি নেন আসামিরা। এ সময় বাদীসহ সাক্ষীরা কুকুরটিকে হত্যা না করার জন্য অনুনয় করেন। কুকুরটির পাঁচটি দুগ্ধপোষ্য ছানা রয়েছে বলেও জানান। কিন্তু আসামিরা তার কথার তোয়াক্কা না করে লোহার টেঁটা দিয়ে কুকুরটির সমস্ত শরীরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করে ছিন্নভিন্ন করতে থাকেন। ২ ও ৩ নম্বর আসামি এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা কুকুরটির মৃতু্য নিশ্চিত করেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সব আসামি টেঁটা দেখিয়ে বাদীকে খুন-জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেন।

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা

বাদী আরও জানান, এই ঘটনার দুই দিন আগে একই গ্রামের মো. খবিরদ্দিন হাওলাদারের একটি পোষা কুকুর এবং খলিল হাওলাদারের একটি গর্ভবতী কুকুরকে একইভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। তারা চলতি বছর শতাধিক কুকুর ফাঁদ পেতে হত্যা করেছেন।