ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই সতর্কতামূলক ক্যাপশনটি সিগারেটের প্যাকেটে যেমন লেখা থাকে, তেমনই সিনেমা হলে সিনেমা শুরু হওয়ার আগে দেখানো হয়। কিন্তু, কার্যত এই সতর্কতায় আমল দেয় না ধূমপায়ীরা। বরং প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি অল্প বয়সিদের মধ্যেও ধূমপানের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। ব্যতিক্রম নয় মেয়েরাও। তাই এবার ধূমপানের অভ্যাস সমূলে উৎখাত করতে বিশেষ আইন আনার পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন সরকার। ১৪ বছরের কম বয়সিদের ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। এমনকি বিড়ি বা সিগারেট (ঈরমধৎবঃঃবং) কেনার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে ঋষি সুনকের সরকার।
সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক স্বয়ং। তাই ধূমপানের প্রবণতা কমাতে দলের বার্ষিক কনফারেন্সে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ঋষি সুনক বলেন, প্রথমে কিশোর-কিশোরীদের সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষ সাধারণত যুব বয়সেই সিগারেটের নেশা শুরু করেন। ৫ জনের মধ্যে ৪ জন ধূমপান শুরু করেন, যখন তাদের বয়স ২০ বছর হয়। পরে অনেকেই সিগারেটের নেশা ছাড়ার চেষ্টা করেন। যদি আমরা এই চক্রটি ভাঙতে পারি, তাহলে আমরা শুরুতেই এই নেশা থামাতে পারি। তখন আমরা আমাদের দেশে প্রতিরোধযোগ্য মৃতু্য ও রোগের সবচেয়ে বড় কারণ শেষ করার পথে থাকব।
মূলত, ২০৪০ সালের প্রথম দিকের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাস বন্ধ করতে তৎপর ঋষি সুনকের সরকার। সে জন্যই ১৪ বছরের কম বয়সিদের সিগারেট কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব দিয়েছে সুনকের সরকার। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারীর তামাকজাত দ্রব্য কেনা, এমনকি বিক্রি করাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
তবে ব্রিটেন পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবটি পাস হলে ইংল্যান্ডে এই আইন প্রয়োগ হবে। উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে এই আইন প্রযোজ্য হবে না।