কেউ অনায়াসে এক খন্ড উর্বর ভূমি দিলে-
লাঙলের ফলা মুছে দেয় বেদনার ক্ষত।
আলের ধারে উপুড় হয়ে শুয়ে অবারিত আকাশ...
মাথার উপর গনগনে রোদ্দুর, রোপণে ব্যস্ত অনাহারী আঙুল;
ফলাবে কিছু সোনালি ফসল-
বাতাসে দোল খায় আদিম কৃষক, ধানের পাতা...
স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পথ।
দোল খাওয়ার দৃশ্য-
নিয়ে যায় উত্তাল সমুদ্রের পাড়ে।
রাত ফুরিয়ে গেলে, কেটে যায় কুয়াশার ঘোর;
উত্তরসূরি লিখে রাখে চাষ কাহিনি
কাব্যভুবনে ভূমিদাতা হয়ে ওঠে নীলাঞ্জনা আর কৃষক নীলাম্বর।
বকেয়া কথার ফিরিস্তি
রহমান মুজিব
এ জলন্দর বুক শুধু লুপ্ত প্রেমের মহাভারত, স্মৃতির ঘড়ি
অন্ধ আবেগে এখানে অচেনা অতীত টিকটিক করে
সুঁতোকাটা ঘুড়িমন- সেও চায় মেঘপাখির ডানা
দুটি বিসর্গ চোখ আর নদীর যৌথ সন্ধির সংগম
ঘনীভূত হলে সাত সমুদ্রের কটা স্বাদে ভেসে যায়
বকেয়া কথার কলরব, অমীমাংসিত থাকে
বসন্তের ফুল ফোঁটা প্রমিত প্রহর
কী কথা ছিল পাপেটের ভাষায়, কার প্রযত্নে
সার্কাস তাঁবুর করতালিতে ভিজে জীবন হাঁটে
পূর্ণিমার পথে, চায় আদর খসা উত্তাপ, কে জানে
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd