কে আর শোনে আজকাল পুঁথিপাঠ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি
নানা বর্ণে আনন্দে ঝড়-ঝঞ্ঝায় আবর্তিত জীবনের খুনশুটি
আঁচলে বাঁধা ছিল কিছু কথামালা- ফুল, শোনাবো তোমায়
রূপময়তায় আমার জমানো যত শ্লোক ওই পুঁথিখানা
কখনো শুনেছো আনন্দ সৈকতে লোনা জলে হুমড়ি খেয়ে
কখনো দিয়েছো উপদেশ শাসনের স্বরে-উপসংহারে
একান্তই আমার সত্ত্বার গভীরে তোমার উষ্ণ শ্বাস
কত শত ছলে কৌশলে স্পর্শে দেহ স্পন্দন যায় বেড়ে
তুমি তো ছিলে তখনো পাশেই।
নিজের মাঝে নিজেই আবর্তিত আজ
সুনামি সাইক্লোন দুমড়ে যাওয়া একাকী এ জীবন
মরীচিকা জল তপ্তদাহে ওই প্রান্তরের হাতছানি
থিতিয়ে যাওয়া পরিপাটি গুচ্ছ কবিতা আমার এই পুঁথি
শিলাখন্ডে জমাটবদ্ধ পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে
যদি উষ্ণ বাতাসের খামে উড়িয়ে দেয়া যেত,
আমার এই পুঁথির শ্লোক...
\হতোমার এখন বিলাসী সময় অফুরান
পড়বে চিঠিটি আমার আকাশের গায়ে গায়ে
আমার কেবল এই সাশ্রয়ী সময়
শেষ হয়েও আজকাল, হয় কি বলো তা শেষ!