শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপারেশন কাঁঠালতলা

শাফায়েত হোসেন
  ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

মৃদুল, এই মৃদুল, আমি ভয়ে চমকিয়ে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। এবার তাহলে আমাদের বাড়িতে মিলিটারি এলো! তার মানে আমাদের সব পরিকল্পনা ওরা জেনে গেছে? কিন্তু কীভাবে? দরজায় লাগাতার বুটের শব্দ। বাইরে সব ভাঙচুর আর গোলাগুলি শব্দ শুনতে পাচ্ছি। ওরা কি তাহলে বাবা-মাকে মেরে ফেলল? এবার তাহলে আমার পালা? আবার দরজা ধাক্কা, খুব সহজে ভাঙতে পারবে না এ দরজা। মিনিটখানেক কোনো শব্দ পেলাম না সবকিছু যেন চুপচাপ। হঠাৎ একটা গুলির শব্দ। একটা গুলি দরজা ভেদ করে আমার কানের পাশ দিয়ে গিয়ে লাগলো দেয়ালে। আমি ভয়ে দুহাত দিয়ে আমার কান চেপে ধরলাম। একটা গুলি এসে লাগল আমার মাথা। আমি ভয়ে কষ্টে চিৎকার করে উঠলাম। আবার বাইরে থেকে কে যেন আমাকে ডাকছে। 'এই মৃদুলের বাচ্চা মৃদুল'

না, কোনো মিলিটারি না। এত সময় আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। জানালা ধাক্কাচ্ছে রাকিব। আমি অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে, জানালা খুলে দিলাম। আর বললাম, 'আস্তে আব্বা পাশের রুমে রেডিও শুনছে, টের পেয়ে গেলে প্রচন্ড বকা দেবে আমারে।'

রাকিব বলল, 'তুই বিকাল ৪টার ভেতরে মোকলেস চাচার আমবাগানে চলে আসবি ডাংগুলি খেলার নাম করে। আমাকে আবার ইতিকে ডাকতে যেতে হবে।'

আমি, রাকিব, ইতি, রূপক আর দেবাশীষ সমবয়সি এবং একই গ্রামের। রাকিব, রূপক আর দেবাশীষ এলাকার কলেজে পড়ালেখা করে। দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে, দেবাশীষ ওর পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে যায়। রূপকের বাবা নেই, কিন্তু ওর মা প্রচন্ড এক সাহসী মহিলা। রূপক তার মায়ের আদেশেই যুদ্ধের জন্য ভারতে ট্রেনিং নিতে গেছে। একথা গ্রামের সবাই জানে। ইতি অনেক ভালো স্টুডেন্ট, সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাতে ও এখন গ্রামেই থাকে। আর আমার পড়ালেখা মাদ্রাসাতে। আমার বাবা এলাকার একজন নামজাদা হুজুর ও আমার মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত। মার্চের শেষের দিকে দেশে যুদ্ধ শুরু হলো। ঠিক তার দুই মাসের মাথায় আমাদের মাদ্রাসাতে মিলিটারি ক্যাম্প বসালো। তারপর থেকেই আব্বার সঙ্গে মিলিটারিদের যোগাযোগ বাড়তে লাগল। মিলিটারিদের সঙ্গে আব্বার এমন ঘনিষ্ঠভাবে চলাচল আমার কখনোই ভালো লাগে না। এখন তো সকাল-সন্ধ্যা তাদের সঙ্গেই থাকেন। তার নিজেরও একটা ঘরবাড়ি আছে, হয়তো সেটা ভুলে গেছে। কিন্তু আমি আব্বাকে প্রচন্ড ভয় পাই। কখনো সাহস করে বলে উঠতে পারিনি আপনি ওদের সঙ্গে থাকবেন না, ওদের সঙ্গে মিশবেন না।

দিন দশেক, আগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এমন এক সন্ধ্যায়, রাকিব আমাকে নিয়ে গেল মোখলেস চাচার আমবাগানের সেই পুরাতন ভূতুড়ে বাড়িটাতে। বাড়ির ভেতরে গিয়ে আমি থ! এ কি দেখছি আমি? রূপক আর দেবাশীষ এখানে বসে আছে। আর সঙ্গে সজীব ভাই। সজীব ভাই এলাকার বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, আমি তাকে কয়েকবার মিছিল মিটিং এ দেখেছি- তবে তার সঙ্গে ভালো পরিচয় নেই। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছে এবং কমান্ডার। এটা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু দেবাশীষ তো ওর পরিবারের সঙ্গে ভারতে। তার মানে দেবাশীষ ভারতে গিয়ে যুদ্ধের ট্রেনিং দিয়েছে। আর রূপকও, যুদ্ধের জন্য ভারতে গিয়ে ছিল ট্রেনিং নিতে। তার মানে এরা তিনজনই এখন যুদ্ধে যোগ দিয়েছে আর রাকিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। কিন্তু এদের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য আমাকে নিয়ে এলো কেন? আমার সঙ্গে এদের কি কাজ?

রাকিব খুব সংক্ষেপে সজীব ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। সজীব ভাই কোনো ভণিতা না করে আমাকে বলল, দেখ মৃদুল তোমাদের গ্রামে মিলিটারি ক্যাম্প করেছে সেটা তো তুমি জানই, আর তোমার বাবার সঙ্গে তাদের বেশ ভালো সম্পর্ক। আমরা চাচ্ছি ওদের ওপর আক্রমণ করতে। কিন্তু ওদের মোট কতজন সেনা আছে, গোলাবারুদ কি পরিমাণের আছে সেটা জানা প্রয়োজন। আর এই জন্য তোমার সাহায্য দরকার। আগামী ১৪ তারিখ ওদের ক্যাম্পে একটা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। তুমি তো এলাকার সব মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ কর এবং তোমার কণ্ঠ বেশ মিষ্টি সেটা সবাই জানে। তুমি ওখানে গিয়ে ওদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসবে। কি পারবে তো? পাশ থেকে দেবাশীষ আর রূপক বলল, 'তুই পারবি, দেশের জন্য তোকে এটুকু পারতে হবে।' আমি বললাম, 'আমি চেষ্টা করে দেখব।'

পরের দিন দুপুরে নামাজ পড়তে গিয়ে পেয়ে গেলাম বাচ্চু রাজাকারকে। আমি গিয়ে বললাম, 'চাচা ১৪ তারিখ তো আমাদের স্বাধীনতা দিবস যদি ক্যাম্পে মিলাদের আয়োজন করা হয় তো আমি সেখানে থাকতে চাই। আব্বাকে একটু বলে দিয়েন।' বাচ্চু খুশি হয়ে বলল, 'আলহামদুলিলস্নাহ, আলহামদুলিলস্নাহ- এত ভালো কথা। তুই ধর্মের কথা কত ভাবিস। আর এদিকে তোর মতন ইয়ং পোলাপাইন যুদ্ধে গেছে, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে হিন্দুদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। থু, থু, গজব পড়ুক ওদের ওপর।'

কাল বাচ্চু রাজাকার নিজে এসে, আমাকে নিয়ে গিয়েছিল মিলিটারি ক্যাম্পে। পাকিস্তানিদের জন্য দোয়া করেছি, চোখ ভিজিয়েছি আর মনে মনে দেখে নিয়েছিলাম মিলিটারিদের অবস্থান গোলাবারুদ কেমন এবং কতজন আছে। আজ বিকালে সজীব ভাইয়ের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। মনে মনে প্রচুর ভয় কাজ করছে। যদি ধরা পড়ে যাই- তবে কী হবে? আব্বা যদি সব টের পেয়ে যায়? দুপুরে এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সেই জন্য হয়তো স্বপ্নে মিলিটারিদের দেখেছি।

বিকালে মাঠে খেলাধুলা করে সন্ধ্যা লাগার আগে চলে গেলাম আমবাগানে। খুব সাবধানতার সঙ্গে সজীব ভাই, রূপক আর দেবাশীষ এলো। সজীব ভাই বলল, 'কাজ করতে পেরেছিস তো?' আমি বললাম, 'ক্যাম্পে ওরা ২৫ জনের মতো সেনা আছে। দুইটা মেশিন গান আর কিছু বেশ ভারী ভারী অস্ত্র।' সজীব ভাই বলল, 'আর গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য?'

\হ'তেমন তো কিছু শুনিনি। তবে হঁ্যা, আজ রাতে নাকি কিছু সেনা পাশের ক্যাম্পে যাবে। ওই ক্যাম্পে আপনারা নাকি আক্রমণ করেছেন।'

সজীব ভাই চিৎকার করে বলল, ইয়েস, এটাই জানার ছিল। ভাই আবার বললেন, শোন আমরা বেশ কিছুদিন ধরে চাচ্ছিলাম এই ক্যাম্পে আক্রমণ করব। কিন্তু এখানে সেনা ও অস্ত্রের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছুতে এটা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তাই পাশের ক্যাম্পে দুইটা ছোট ছোট গেরিলা আক্রমণ করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম ওরা হয়তো ওই ক্যাম্পের সতর্কতা বাড়ানোর জন্য এখান থেকে কিছু সেনা ওখানে মোতায়ন করবে, এখন দেখি পস্ন্যান মাফিক কাজ হয়েছে। ভাই এবার একটি ম্যাপ বের করলেন, এক দেখাতেই বুঝে গেলাম এটা আমাদের গ্রামের ম্যাপ। ভাই বললেন, 'শোন, তোদের এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।' রাকিব বলল, 'ভাই যা বলবেন তাই করব।' আমি বললাম, 'আমিও সঙ্গে আছি ভাই।'

সজীব ভাই এবার তার পস্ন্যান বিস্তারিত আমাদের বলা শুরু করল। আজ রাতে পাকিস্তানের একটি দল আব্দুলস্নাপুর ক্যাম্পে যাবে। রূপক আর দেবাশীষ আগে থেকেই ইতিদের বাসাতে অবস্থান করবে। রাকিব ভাই সন্ধ্যার আগেই একটি মাইন ও প্রয়োজনীয় অস্ত্র আমাদের কাছে পৌঁছে দেবে। আমাকে আর রূপককে সে অস্ত্র নিয়ে সন্ধ্যার পরে ইতিদের বাড়িতে যেতে হবে। আমাদের কাজ হবে দক্ষিণ মাঠে রাস্তার পাশে যে বড় কাঁঠাল গাছ আছে সেখানে খুব সাবধানতার সঙ্গে মাইন পুঁতে রাখা। যত সময় না মাইনটা বিস্ফোরণ হচ্ছে তত সময় নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে অবস্থান করা। আমাদের সিগন্যাল পেলেই মুক্তিযোদ্ধারা মাদ্রাসা ক্যাম্পে আক্রমণ করবে। আর মাইনটা বিস্ফোরণ হওয়ার পর বাগানের ভেতরে রাস্তা দিয়ে নদীর ধারে চলে যাব। সেখানে আমাদের জন্য একটা নৌকা অপেক্ষা করবে।

রাকিব বলল, 'ভাই আমি তো অনেক দিন মায়ের সঙ্গে দেখা করি না আজ একটু দেখা করে আসি।'

সজীব ভাই বললো, 'দেখ এলাকার সবাই জানে তুই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিস। তাই আমি চাচ্ছি না এই অপারেশন শেষ হওয়ার আগে, তুই তোর মায়ের সঙ্গে দেখা করিস।' রাকিব আর কিছু বলল না। সজীব চলে যাওয়ার আগে আমাদের সবাইকে সাহস জুগিয়ে গেল এবং এই অপারেশনের নাম দিল 'অপারেশন কাঁঠালতলা'।

তারপর চলে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। সন্ধ্যার পরে আমাকে আর রাকিবকে ইতিদের বাড়িতে যেতে হবে। কিন্তু অস্ত্র তো এখনো এলো না। দুপুরে ভাত ঘুম দেওয়ার আমার অভ্যাস আছে। আজকে কিছুতেই ঘুমাতে পারলাম না। মাগরিবের নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এখনো সেই অস্ত্র আসেনি আর আজকে সন্ধ্যা থেকে আব্বা বাড়িতে। অন্য সব দিন ক্যাম্পে থাকলেও আজকে কেন যেন যায়নি। আব্বার চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছুতেই বাইরে যাওয়া সম্ভব না। তার ওপর দেশের যা পরিস্থিতি। টেনশনে ঘরের ভেতর পায়চারি করতে লাগলাম। মাথায় যেন কিছু কাজ করছে না। হঠাৎ আব্বা বলল, 'কিরে, তোকে এত চিন্তিত দেখায় কেন? বাইরে যাবি নাকি, কোনো দরকার?' আমি বললাম, 'জি আব্বা, রাকিবদের বাড়িতে একটা পিকনিক আছে তাই একটু বাইরে যেতাম আরকি। খুব বেশি সময় থাকব না।' আব্বা বলল, 'খালি হাতেই যাবি? কিছু নিয়ে যায়, আই আমার সঙ্গে।'

আব্বা আমাকে আমাদের গুদাম ঘরে নিয়ে গেল, আমাকে অবাক করে দিয়ে সেখান থেকে তিনি একটা থ্রি নোট থ্রি, একটা স্টারলিং সাব-মেশিনগান, একটা মাইন ও তিনটা গ্রেনেড বের করে দিল।

আমি আব্বাকে বললাম, 'আপনি এসব কই পাইলেন?' আব্বা বলল, 'এসব নিয়ে পরে কথা হবে। তুই তোর কাজে যা- আর যেভাবেই হোক এডমিশন সাকসেসফুল করতে হবে। আমার জন্য ভাবিস না তোদের জন্য দোয়া করি। 'আমি আর দেরি না করে রাকিবের সঙ্গে করে চলে গেলাম ইতিদের বাড়িতে। অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিদের বাড়ির পেছন দিয়ে আমরা চলে গেলাম আমাদের নির্দিষ্ট জায়গায়। দেবাশীষ খুব সাবধানতার সঙ্গে মাইনটা পুঁতে ফেলল। আমরা কাঁঠালগাছের আড়ালে অবস্থান নিলাম। তারপর মিলিটারি গাড়ি আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে দূরে দেখতে পেলাম মিলিটারিদের জিপের আলো। খুব দ্রম্নত ছুটে আসছে গাড়িটি। না একটি গাড়ি বললে ভুল হবে- দুটি গাড়ি আসছে। কিন্তু আমাদের জানা মতো একটা গাড়ি আসার কথা। আমরা কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। দুইটা গাড়ির অবস্থান বেশ দূরে দূরে। আমাদের দলের লিড দিচ্ছে রূপক। রূপক শেষবারের মতো সতর্ক করে বললো, আমি না বলা পর্যন্ত কেউ যেন একটা আক্রমণ করবি না। মিলিটারিদের প্রথম গাড়িটার চাকা মাইনের উপরে পড়তেই বিকট এক শব্দে সবকিছু উড়ে গেল। ততক্ষণে দ্বিতীয় গাড়িটার মিলিটারি সতর্ক অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। রূপক জয় বাংলা বলে একটা গ্রেনেড ছুড়ে মারল ওদের দিকে। কিন্তু এতে খুব বেশি ক্ষতি হলো না ওদের। দেবাশীষ মেশিনগান দিয়ে ফায়ার করা শুরু করল। ওরাও আমাদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে। রূপক বলল, কেউ যেন গাছের বাইরে মাথা বের করবি না। কিন্তু রূপকের কথা না মেনে রাকিব একটা গ্রেট মারতে গেলে ওদের দিকে আর অমনি একটা গুলি এসেছে লাগলো ওর হাতে। আমাদের সবকিছু হাতের বাইরে চলে গেল। আমাদের পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। মিলিটারিদের অবস্থা নাজেহাল। তখন রূপক একটা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিল। দেবাশীষকে বললো, 'তুই ওদের নিয়ে নদীর ধরে চলে যা আমি বাকিটা দেখছি।' আমরা কেউ ওকে ছেড়ে যেতে চাইলাম না। তখন রূপক রেগে গিয়ে বলল, 'এটা আমার আদেশ তোদের যেতে বলছি, তোরা যা। 'আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেবাশীষ আমাদের নিয়ে নদীর ধারে চলে গেল। থেকে গেল রূপক একা। আমরা খুব দ্রম্নততার সঙ্গে নদীর ধারে চলে গেলাম। সেখানে একটা নৌকা আমাদের জন্য অপেক্ষা করেছিল আগে থেকেই। মাঝি আমাদের দেখে খুব তাড়াতাড়ি ছুটে এলো। তাড়াতাড়ি রাকিবকে তোলা হলো নৌকাতে। আমরা নৌকায় গিয়ে দেখি ইতি ওখানে বসে আছে। সবাই জানে ইতি ওর বাবা মার সঙ্গে নানাবাড়ি চলে গেছে। ইতি ওর প্রাথমিক চিকিৎসার শুরু করে দিল। আমি নৌকায় গিয়ে দেখি আমার বাবা-মা আর রূপকের মা। আমাদের সমস্যা হতে পারে তাই হয়তো সাবধানেতার জন্য নিয়ে আসা। আব্বা আমাকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেল। রূপকের মা বলল, আমার রূপক আসেনি, ওরে তো দেখছি না?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে