তুমি কোনো দিন কাউকে বলো না...-
কবিতা আজ আমাকে ফাঁকি দিয়ে এখন বর্ণমেলার
হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
টি এস সি থেকে দোয়েল চত্বর, হাকিম চত্বর,
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ!।
তবে অপরাজেয় বাংলা থেকে বটতলা, ওরাও কোনো
অংশে পিছিয়ে নেই; পিছিয়ে নেই
আশেপাশের দু-একটি চায়ের স্টল, ফুটপাত, সব্যসাচী
দূর্বাঘাস কেউই;
তারাও যেন প্রত্যেকেই এক একটি জীবন্ত কবিতা!
তুমি কোনো দিন কাউকে বলো না...
কেউ একজন স্বর্গে গিয়েছিল... ভাষা শহীদদের সাথে
দেখা হয়নি! কে জানি কানে কানে বলে দিয়েছে
প্রতিদিনই মেলায় এসে চুপচাপ বসে থাকে
রফিক, জব্বারের অতৃপ্ত আত্মা!
তারা আবারও বুকের তাজা খুন ঢেলে দিতে চায়
আবারও আরেকটি আটই ফাগুন ফিরিয়ে আনতে চায়
আবারও আরও গাঢ় রঙে রাঙিয়ে দিতে চায় শিমুল,
কৃষ্ণচূড়ার বুক!
তুমি কোনো দিন কাউকে বলো না...
আরও জানতে পারলাম, তারা নাকি আর স্বর্গে ফিরে
যেতে চায় না! কেবল প্রত্যয়ী চোখে একে অপরের মুখ
চাওয়া চাওয়ি করে,
ধূলিকণার মতো তাদের উড়িয়ে নিতে চায় প্রগতিশীল
বাতাস, তবু তারা কিছু বলে না।
দীর্ঘশ্বাস বুকের গভীরে চাপা দিয়ে রাখে,
মহাবিস্ফোরণের অপেক্ষা করে!
কার কাছে জানি শুনেছে, আমরা নাকি এখন অ, আ, ম
বলতে লজ্জা পাই?
উড়ে এসে জোরে বসা পরদেশি বাবুর এ বি সি বলতে
পেরে গৌরব কামাই!
তুমি কোনো দিন কাউকে বলো না...
আমরা নাকি ভুলে যেতে বসেছি বাংলা ও বাঙালির
ইতিহাস?
তারা অবাক হয়ে ভাবে এত কিছুর পরেও আমরা
কীভাবে চুপ করে আছি!
আমরা কি তবে আর বাঙালি নেই? এই প্রশ্ন তাদের
কুরেকুরে খায়!
তবে গোপন খবর একটা আছে, কোনো দিন কাউকে
বলো না, বলে রাখছি!
কোনো দিন কাউকে বলো না, শুনেছি, মা ডাক তারা
ভুলতে দেবেন না
কোনোমতেই মাতৃভাষার অমর্যাদা হতে দিবেন না
আর সেজন্যই তারা নাকি শহীদ মিনারে গণঅনশনের
প্রস্তুতি নিচ্ছেন!