শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাউল গানে ও পুঁথিকাব্যে বঙ্গবন্ধু

এস ডি সুব্রত
  ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মে মানুষটির জন্ম না হলে আমরা পেতাম না একটি স্বাধীন দেশ। নিজের ভূখন্ড বাংলাদেশ সে মহামানব আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নদী মাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাউল ফকিরের দেশ প্রিয় বাংলাদেশ। এ দেশের বাউল শিল্পীদের গান এখন ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে।

আমাদের দেশের বাউল সাধক কবিদের গানে ও কথায় মানবপ্রেম ও অধ্যাত্মবাদের সঙ্গে সঙ্গে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা। বঙ্গবন্ধু যেমন সাধারণ মানুষের প্রাণের নেতা ছিলেন তেমনি মানবাত্মার মহান প্রেমে মশগুল বাউল কবি সাধকদের কাছেও ছিলেন অণুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর অতি মানবিক গুণাবলি, অসম্প্রদায়িক চেতনায় মুগ্ধ হয়ে তারা লিখেছেন গান, পুথিকাব্য ও গ্রন্থ। সাধক কবিদের চোখে বঙ্গবন্ধু কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না, ছিলেন স্বয়ং স্রষ্টার আশীর্বাদপুষ্ট মহামানব। তাই তো সাধক কবির বর্ণনায় বঙ্গবন্ধুর নামের মূল অংশ অন্বেষণ করেছেন পবিত্র কোরআন থেকে। পাবনার সুফি সাধক কবি ফকির আবুল হাশেম লিখেছেন 'মুজিব একটি আরবি শব্দ কোরানে প্রচার/সূরা হুদের পঞ্চম রুকু শেষ আয়াতের মাঝার/ইহার অর্থ উত্তরদাতা সংগ্রাম প্রতিবাদ/সত্যকে সে প্রশ্রয় দিয়ে মিথ্যার কাটে খাদ।' (প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৪)

ভাটির জেলা লোকসংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত সুনামগঞ্জের বিখ্যাত সাধক কবি শাহ আবদুল করিম তার আত্মস্মৃতি শিরোনামের একটি বর্ণনাধর্মী গানের বাণীতে লিখেছেন 'পূর্ণচন্দ্রে উজ্জ্বল ধরা/চৌদিকে নক্ষত্রঘেরা/জনগণের নয়নতারা/ শেখ মুজিবুর রহমান/জাগরে জাগরে মজুর-কৃষান/গণসংগীত পরিবেশন করলাম যখন/একশত টাকা উপহার দিলেন তখন/ শেখ মুজিব বলেছিলেন সৎ-আনন্দ মনে/'আমরা আছি করিম ভাই আছেন যেখানে' (শুভেন্দু ইমাম, শাহ আবদুল করিম রচনাসমগ্র, ২০০৯, পৃ. ৫৩১)। এই গানের বাণীর ভেতর দিয়ে একই সঙ্গে সাধক কবিদের রচনায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে, সাধক কবিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অকৃত্রিম প্রকাশ দেখা যায়।

বাউল সাধকদের গানে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মতো রাজনৈতিক-অভিজ্ঞা ভিন্নভাবে গৃহীত হয়েছে। সাধক কবি মোসলেম উদ্দিন বয়াতি লিখেছেন 'শেখ মুজিবের ছয় দফা দিব্যজ্ঞানে বুঝতে হয়/কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যের ভাবাশ্রয়।' (সাইমন জাকারিয়া, সাধক কবিদের রচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি, ২০২০, পৃ. ১৮২)।

মানিকগঞ্জের সুফি সাধক কবি সাইদুর রহমান বয়াতি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বস্রষ্টার ত্রিযুগের মহিমার ভেতর ভিন্নভাবে আবিষ্কার করে পুঁথি লিখেছেন। পুঁথির মধ্যে তিনি লিখেছেন 'পাক কোরআনে আলিফ লাম মিম তিনটি অক্ষর আছে/আজ অবধি তিনের মূল ভেদ গোপন রয়েছে।/আলস্নাহ আলম আর মোহাম্মদ হকিকতির মূল/ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এ ব্রহ্মান্ডের ফুল/এক হইতে তিনের সৃজন তিনে একেশ্বর/তিনটি মিলে চলছে জগতের কারবার/...মানবকুলে যে তিন বস্তু থাকা প্রয়োজন/রবীন্দ্র, নজরুল, শেখ মুজিবর মিলেছে তিনজন... হায়! রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্ম অংশ মানব অবতার/মানুষের মঙ্গল কামনায় জীবন কাটে তার।/নজরুল ইসলাম কাজী বংশ বিদ্রোহী খেতাব/স্বাধীনতার অগ্নিশিখায় অনুতাপ।/মুজিবুর রহমান তাহার চিন্তা ছিল মুক্তি/ দেশের নাম তাই বদল করেছে পেয়ে জনশক্তি।' (প্রাগুক্ত, পৃ. ২৭৮-২৭৯)

বাউল সাধক কবিদের রচনায় নানা আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ গ্রন্থিত হয়েছে। বণনাধর্মী পুঁথি-গান বা পুঁথিকাব্যে ১. বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি প্রসঙ্গ, ২. জারিগানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মাহাত্ম্য ও ১৫ আগস্টে সপরিবারের শহীদ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা এবং ৩. লোকগানের অন্যান্য আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধু বন্দনা।

পুঁথিকাব্যে মূলত মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামের ইতিহাস ও দূরদর্শিতার কথা বর্ণিত হতে দেখা যায়। এই ধারা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শহীদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রচিত ও প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দুটি উলেস্নখযোগ্য পুঁথিকাব্য হলো কিশোরগঞ্জের বাউল কবি মো. তাহেরউদ্দিন খানের বাংলাদেশ কবিতা ও সংগ্রামী কবি আবদুল খালেকের জয় বাংলার পুঁথি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার সাফল্যগাথা বর্ণনা করে পুঁথিকাব্য রচনা, প্রকাশনা ও পরিবেশনের ধারা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে বঙ্গ-বিষাদ নামে উলেস্নখযোগ্য একটি পুঁথি রচনা, প্রকাশনা ও পরিবেশনের মাধ্যমে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন নরসিংদীর পুঁথিকার দারোগ আলী। তিনি তার বঙ্গ-বিষাদ পুঁথিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিটি কালপর্ব ও ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও সাফল্যের কথা বর্ণনা করেন। এছাড়া, এই কালপর্বে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিষয় নিয়ে যেসব পুঁথিকাব্য রচিত ও প্রকাশিত হয়েছিল তার মধ্যে, গাজীপুর জেলার পুঁথিকার ইদ্রিস আলী মিঞা'র স্বাধীন বাংলার কবিতা ও রাজাকারের ডায়েরি, ঢাকা জেলার সাহাবদ্দিনের এহিয়ার হত্যাকান্ড, নরসিংদীর পুঁথিকার গিয়াসুদ্দিনের সোনার বাংলা করিলে শ্মশান, টাঙ্গাইল জেলার পুঁথিকার আমীর আলীর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের কবিতা, নরসিংদীর পুঁথিকার আজিজুল হকের বাংলা স্বাধীনতার কবিতা, নরসিংদীর পুঁথিকার মফিজউদ্দিনের ২১ দফার কবিতা ও (চাষির দুঃখবর্ণনা)। পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর শহীদ হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুঁথিকাব্য রচনা, প্রকাশনা ও পরিবেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পাবনার ফকির আবুল হাশেম। তিনি ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের প্রায় তিন বছর পর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বংশ পরিচয় ও তার কর্মময় জীবনের কাহিনী শীর্ষক রচনা ও প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে এই পুঁথিটি তিনি পাবনা জেলার হাটেবাজারে পাঠ করে বিক্রি করতেন। এছাড়া, ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার পর বঙ্গবন্ধু ও তার রাজনৈতিক জীবনসংগ্রাম নিয়ে পুঁথি রচনা ও পরিবেশন করেন মানিকগঞ্জের সাইদুর রহমান বয়াতি, নেত্রকোনার আবদুল হেলিম বয়াতী, কিশোরগঞ্জের লাল মাহমুদ প্রমুখ। সাম্প্রতিককালে রচিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুঁথির মধ্যে কক্সবাজারের মাস্টার শাহ আলমের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাহিনী ও পুঁথিকাব্যে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বা পুঁথিকাব্যে বঙ্গবন্ধু, গোপালগঞ্জের মনোরঞ্জন বালার বঙ্গবন্ধু গীতিকাব্য, গোপালগঞ্জের শেখ মিজানুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও শোক দিবস প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।

কারবালার প্রান্তরের ঘটনাকে অবলম্বন করে যেমন জঙ্গনামা, জারি জঙ্গনামা, শহীদে কারবালা, হোসেন শহিদ প্রভৃতি নামে অসংখ্য পুঁথিকাব্য রচিত হয়েছে তেমনি ১৫ আগস্টে মর্মান্তিকভাবে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনাকে অবলম্বন করেও অসংখ্য পুঁথিকাব্য রচনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জারি-মর্সিয়া গানের ধারা প্রবর্তিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত পুঁথিকাব্যে প্রাসঙ্গিকভাবে কারবালার ট্র্যাজেডির সঙ্গে তার হত্যাকান্ডকে তুলনা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যকারীদের এজিদ ও সীমারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের সাইদুর রহমান বয়াতির বঙ্গবন্ধু মুজিবনামা বা মুজিব শহীদ, রাজশাহীর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম ফকিরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের জন্ম ও পরিবার বিষয়ে জারিগান, হবিগঞ্জের বাউল আব্দুর রহমানের বঙ্গবন্ধু বিষয়ক জারিগান, গোপালগঞ্জের শেখ মিজানুর রহমানের শোক দিবসের জারি প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য। বাউল কবিদের অনেকে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে তাকে নিয়ে রচিত গান পরিবেশন করেছিলেন। অনেকে আবার বঙ্গবন্ধুর ডাকে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কয়েকজন স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের সীমান্তের বাইরের তথা বাংলাদেশের সীমান্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের সাধক কবিদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান রচনা ও পরিবেশন করেছিলেন। যেসব সাধক কবিদের গানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তারা হলেন- নেত্রকোনার আবদুল মজিদ তালুকদার, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিম, কামাল পাশা, দুর্বিন শাহ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, মছরু পাগলা, মানিকগঞ্জের নূর মেহেদী, আবদুর রহমান, শরিয়তপুরের ইউসুফ মিয়া, চট্টগ্রামের ফণী বড়ুয়া, আবদুল গফুর হালী, ঢাকার ভবা পাগলা, নড়াইলের মোসলেম উদ্দিন বয়াতি, বিজয় সরকার, বাগেরহাটের রসিকলাল সরকার, ঢাকা-ফরিদপুরের আবদুল হালিম বয়াতি, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের হযরত আলী বয়াতি, পাবনার ফকির আবুল হাশেম, শরিয়তপুরের ইউসুফ মিয়া, যশোরের তোরাব আলী শাহ, কুষ্টিয়ার মকছেদ আলী সাঁই, মানিকগঞ্জের মহিন শাহ, ফরিদপুরের আয়নাল বয়াতি, ঢাকার মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান, বরিশালের শাহ আলম দেওয়ান, হবিগঞ্জের বাউল আব্দুর রহমান, ঢাকার নীল রতন সরকার, কুমিলস্নার বাউল তাহমিনা, চুয়াডাঙ্গার খোদাবক্স সাঁই, আব্দুল লতিফ শাহ, ফরিদপুর আরিফ বাউল, মানিকগঞ্জের বাউল অন্তর সরকার, সিরাজগঞ্জের গুঞ্জের আলী জীবন, কুষ্টিয়ার রেজাউল হক সলক, শরিফুল শেখ প্রমুখ।

বাংলা লোকগানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে বাউলগান। বাউলরা সাধারণত আধ্মাত্মিক বিষয় নিয়ে মগ্ন থাকেন। জাগতিক বিষয়গুলোকে তারা কিছুটা ভিন্নভাবে অবলোকন করেন। বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি রহস্য, ধর্ম-অধর্ম, ইহজগৎ-পরজগৎ, মানব জীবনের অর্থ-নিরর্থ প্রভৃতিই তাদের ভাবনার মূল বিষয়।

ভবার মতো আরেক বড় সাধকের নাম মহিন শাহ লিখেছেন, 'একাত্তরে মুজিবের নৌকার হলো জয়/ রুটিখোরেরা দেখল ভারী বিপর্যয়-মরি হায় রে হায়/ দিল ইয়াহিয়া সৈন্য পাঠাইয়া গো/ মার বাঙালি কেউরে ছাড়বে না/রাজাকার আর আলবদরের দল/ হলো তারা দল ছেড়ে বেদল-মরি হায় রে হায়/সাজিয়া পাকিস্তানের পোষা কুত্তা গো/ দেশবাসীকে দিল কতই-না যাতনা।

লোকায়ত বাংলার লোককবি ও সাধকদের সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বঙ্গবন্ধু বাংলার সংস্কৃতি, প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে আছেন। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাউল, সাধক ও কবিগণ বাংলার সংস্কৃতিকে যেমন অন্তরে ধারণ এবং চর্চা করেন তেমনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও তারা মহিমান্বিত করেছেন তাদের বাউল গান পুঁথি, সঙ্গীত ও লোককর্মের মাধ্যমে। লোক গবেষক সাইমন জাকারিয়া এক আলোচনা সভায় বলেন', এ দেশের অবহেলিত অথচ সোনার মানুষ লোকসাধক ও কবিরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে ছিলেন সদাসচেতন। এসব সাধক কবিদের পরিচিতিতেই বিশ্বের কাছে বাংলা সংস্কৃতি আজ মর্যাদার আসন পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বাংলার লোক সংস্কৃতি ও লোক সাধকদের আপন করে নিয়েছিলেন।'

জাতি সত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এক সভায় বলেছিলেন, 'বাংলার লোকসাধকদের নির্মল ও নিঃস্বার্থ ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র জীবন উঠে এসেছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে