বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নির্যাতনের কবলে অসংখ্য নারী প্রতিকার কোথায়?

আমাদের সমাজে মেয়েদের যেভাবে দেখা হয়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি তো বদলায়নি। বিয়েতে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া আমাদের সমাজে এখনো প্রচলিত আছে। বাংলাদেশে কিন্তু যৌতুকবিরোধী আইন আছে- অথচ যারা যৌতুক দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তারা কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা করছে না। তবে আইনের ফাঁক-ফোকর রয়েছে। এই যৌতুকটা একটা মেয়ের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। এ কারণেই মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে- মেয়ের বয়স যত বেশি হবে, তার জন্য নাকি তত বেশি যৌতুক দিতে হবে। উচ্চবিত্ত পরিবারেও নানা কৌশলে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া হচ্ছে- আমাদের ৮৭ ভাগ মেয়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে- এর সিংহভাগই হচ্ছে যৌতুকের কারণে। এটা পরিসংখ্যান বু্যরোর রিপোর্টে উঠে এসেছে।
মিজানুর রহমান মিজান
  ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

নারী নির্যাতন বাংলাদেশের এক মারাত্মক সামাজিক ব্যাধির নাম। এই সমস্যা বর্তমান বাংলাদেশে বায়ুদূষণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন নারী আটকে পড়ছে যৌতুক, হত্যা ও ধর্ষণের ফাঁদে। বর্তমানে খবরের কাগজে নিত্যদিনের খবরে পরিণত হয়েছে এই নারী হত্যা ও ধর্ষণ। নারীর অবমাননা বা নির্যাতন সমাজে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশে ধর্ষণ, গণধর্ষণ এমনকি ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো স্থান থেকে ধর্ষণের ভয়াবহ বার্তা ভেসে আসে। সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে প্রায়ই নারীদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। নারী নির্যাতনের এই ভয়াবহ চিত্র বাংলাদেশের সর্বত্র বিরাজমান। দিনদিন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণ। বর্তমানে আমাদের এই সমাজ পরিণত হয়েছে এক অসুস্থ নগরীতে।?

বর্তমানে যে কারণে এই সমস্যাগুলো বেশি হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো যৌতুক। বর্তমানে বাংলাদেশ শত শত নারী যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যৌতুক বর্তমান বাংলাদেশের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ কোনোভাবেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না- যৌতুক বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের বিষয়টি গ্রামে ও শহরে উভয় জায়গায় দৃশ্যমান। আমরা বলব গ্রামে বা শহরে সব জায়গাতেই এটা চলছে। গ্রামেরটা দৃশ্যমান সেখানে বলাই হয়, যৌতুক না দিলে মেয়ের বিয়ে হবে না। বয়স বেশি হলে যৌতুক বেশি দিতে হবে; কিন্তু শহরে নানান 'ফরম্যাটে' যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া হচ্ছে। এখানে উচ্চবিত্তরা চাকরি, গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক- নানা কায়দায় এটা চালাচ্ছে। যারা দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তাদের আমরা সামাজিকভাবে বয়কট করতে পারছি না। আমরা যদি তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে না পারি তাহলে যৌতুকপ্রথা বন্ধ করতে পারব না।

আমাদের সমাজে মেয়েদের যেভাবে দেখা হয়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি তো বদলায়নি। বিয়েতে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া আমাদের সমাজে এখনো প্রচলিত আছে। বাংলাদেশে কিন্তু যৌতুকবিরোধী আইন আছে- অথচ যারা যৌতুক দিচ্ছে এবং নিচ্ছে তারা কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা করছে না। তবে আইনের ফাঁক-ফোকর রয়েছে। এই যৌতুকটা একটা মেয়ের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। এ কারণেই মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে- মেয়ের বয়স যত বেশি হবে, তার জন্য নাকি তত বেশি যৌতুক দিতে হবে। উচ্চবিত্ত পরিবারেও নানা কৌশলে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া হচ্ছে- আমাদের ৮৭ ভাগ মেয়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে- এর সিংহভাগই হচ্ছে যৌতুকের কারণে। এটা পরিসংখ্যান বু্যরোর রিপোর্টে উঠে এসেছে। বিয়ের ১০ বছর পরও যৌতুকের কারণে মেয়েদের নির্যাতন করা হচ্ছে, তার পরিবারের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিয়ে বন্ধ বা মেয়েদের সম্মানজনক একটা অবস্থায় কখনো নিয়ে যাওয়া যাবে না। দেশে যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং হত্যা চলছেই।?নারী নির্যাতনের আরেক কারণ মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংবাদপত্র ও প্রতিবেদন প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ধর্ষণ, ধর্ষণপরবর্তী হত্যা, খুনসহ সব অপরাধের ৮০ শতাংশই মাদকাসক্ত, তারা এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত এবং নিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ মাদকাসক্তি। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাদক। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয় মাদক সেবন করার পর অনেকের মধ্যে এক ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ধর্ষণ ও ধর্ষণপরবর্তী হত্যার ক্ষেত্রে মাদক বেশি প্রভাব ফেলে। অনেকেই মাদক সেবনের পর পরিবেশ পরিস্থিতির সুযোগে ধর্ষণ ও ধর্ষণপরবর্তী হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। প্রতিদিন ঢাকায় গড়ে মাদকের সঙ্গে জড়িত ৫০ জন গ্রেপ্তার হয়। শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশের চিত্র প্রায় একই, মাদক আইনে মামলা অন্য অপরাধের তুলনায় অনেক বেশি, গড়ে প্রায় ৫০০ মাদকের মামলা হয় প্রতিদিন।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।?২০১৮ সালে এই সংখ্যা হয়েছিল ৭৩২ জন, অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গত বছর ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ যা ভয়াবহ বলে উলেস্নখ করেছে সংস্থাটি। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হন ৮১৮ জন নারী। ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে, আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১০ জন নারী। বাংলাদেশে গণধর্ষণের ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে। বাংলাদেশে ১ লাখ নারীর মধ্যে ১০ জনের মতো গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। বাস্তব সংখ্যাটা হয়তো এর থেকে কয়েকগুণ বেশি। কারণ ধর্ষণ বা যৌন হয়রানিতে ভুক্তভোগী অনেক পরিবার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কিংবা অপরাধী কর্তৃক নির্যাতনের ভয়ে ঘটনা চেপে রাখে।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩ হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৪ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা ও ৩ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন, এর মধ্যে এসিড দগ্ধের কারণে মৃতু্য ৪ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তার মধ্যে ১৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন এর মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি ৪ জন।

বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ১১৭ জন, এর মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনে শিকার হয়েছেন ১৬৪ জন। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃতু্য হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছেন ৪৩ জন নারী। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২১ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর মোট ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ জন, তার মধ্যে ৬২৯ জন কন্যাশিশুসহ ১০১৮ জন ধর্ষণের শিকার, ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ১৭৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২২ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৩১ জন, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৭ জন।

এ ছাড়া ৯৩ জন কন্যাশিশুসহ ১৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ৬২ জন কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ৫ জন কন্যাশিশুসহ এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২২ জন, তার মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে ৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০ পাস হয়েছে। পাস হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে 'ধর্ষিতা' শব্দটি পরিবর্তন করে 'ধর্ষণের শিকার' শব্দ বসানো হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটি বিলটি চূড়ান্ত করে ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর সংসদে উত্থাপন করে। তবে ধর্ষণের শাস্তি মৃতু্যদন্ড করেও কমানো যাচ্ছে না ধর্ষণের হার।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০৩ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোনো অঙ্গ বা কোনো বস্তু দ্বারা কোনো নারী বা শিশুর যৌনাঙ্গ বা অন্য কোনো অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোনো নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহলে তার এই কাজ হবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য ওই ব্যক্তি অনধিক ১০ বছর কিন্তু অনূ্যন তিন বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন যৌন নির্যাতন ও হয়রানি রোধসহ একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসাধারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকরি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কে সচেতন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার-প্রচারণা চালানো ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বছরে আসা শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক পাঠ শুরুর আগে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ ধারণা প্রদান করা এবং মানসিকতা পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষ সহায়তা প্রদানের কার্যকর ব্যবস্থা থাকতে হবে। যৌন হয়রানি বন্ধে সংবিধান এবং বিদ্যমান আইন ও বিধির সংশ্লিষ্ট ধারা ও উপধারার আলোকে নীতিমালা প্রণয়ন ও পুস্তিকা আকারে তা প্রকাশ ও যৌন হয়রানিমূলক কর্মকান্ড ও অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে সবাইকে যথাযথভাবে ধারণা প্রদানের স্বার্থে সঠিকভাবে প্রচার করা এবং যৌন হয়রানি ও সহিংসতা বলতে যা বোঝানো হয়েছে সে সম্পর্কে সবাইকে যথাযথ ধারণা প্রদান করতে উপযুক্ত স্থানে নোটিশ আকারে ঝুলিয়ে রাখা, প্রকাশ করা এবং সবার মধ্যে সঠিকভাবে বিতরণ করতে হবে।

নারী প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে যাচ্ছে। নারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হলে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ যেন নারীদের প্রতি নির্যাতন করার সাহস না করে। সর্বোপরি প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থার পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারের সবাইকে এ সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। এমনি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শাস্তি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সমাজে প্রচলিত অপসংস্কৃতি যৌতুকের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কঠোর আইন এবং শাস্তি থাকার কারণে নারী নির্যাতনের হার অনেকটাই কমে আসছে। আমাদের দেশেও কঠোর আইন এবং শাস্তিই পারে দেশকে ধর্ষণ, খুন, নারী নির্যাতনের হাত থেকে নারী রক্ষা করতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে