মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট পর্দার 'নয়া রানী'

ছোট পর্দায় 'নতুন মুখ' ঘনঘন আসে। স্রোতে গা ভাসিয়ে কেউ টিকে থাকে, কেউ হারিয়ে যায়। শুরুতেই কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী লাইমলাইটে এসেছেন, এ রকম হাতে গোনা। ছোট্ট এই তালিকায় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল-এর নাম রাখলে ভুল হওয়ার কথা নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ইউটিউবের হ্যান্ডেলে পায়েল অভিনীত নাটকের ক্লিপ রীতিমতো উড়ে বেড়াচ্ছে।
রায়হান রহমান
  ০৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
কেয়া পায়েল

'বেশিদিন হয়নি কাজ করছি। অল্পদিনেই মানুষের এত ভালোবাসা পাব, কল্পনাতেও ছিল না। এই ভালোবাসা যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাই কাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়েছি। অভিনয় শিখছি। পাশাপাশি পেশাগত জীবনটাকে আরেকটু গোছানের চেষ্টা করছি।'- ঘুম ভাঙা কণ্ঠে মুঠোফোনে এমনটিই জানালেন ছোটপর্দার নবীনতম সদস্য কেয়া পায়েল। সত্যিই তাই! ২০১৭ সালে বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে ঝলমলে দুনিয়ায় অভিষেক। মাত্র একুশ বছর বয়সেই পায়েল মিউজিক ভিডিও, নাটক এবং চলচ্চিত্রসহ পর্দার সবগুলো মাধ্যমেই কাজ করে নিয়েছেন। হয়েছেন আলোচিত ও প্রশংসিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের টাইমলাইন ঘাটলে দেখা মিলে তার বিভিন্ন নাটকের ক্লিপ। বিশেষ করে পায়েল অভিনীত 'অবুঝ মন' তো রীতিমতো ভাইরাল। ফলে দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই অভিনেত্রী ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াতে চাইছেন।

পায়েলের ভাষ্যমতে, 'অভিনয়ে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। মঞ্চেও কখনো কাজ করিনি। তাই শিখতে হচ্ছে নাটকে কাজ করে কিংবা সহ-শিল্পীদের অভিনয় দেখে। যখনই সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের কাছে কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। মোশাররফ করিম ভাইয়া তার মধ্যে অন্যতম। আমরা একসঙ্গে ৭-৮টি কাজ করেছি। প্রায় প্রতিটি সেটেই আমি বসে বসে তার অভিনয় দেখতাম। আমার ভালো লাগতো। তাছাড়া আগে খুব বেশি বাংলা নাটক বা সিনেমা দেখতাম না। এখন প্রায় সময়ই খুঁজে খুঁজে দেখি।'

এখনো যাচাই-বাছাই করে কাজ করার সময় হয়নি বলেও জানান ধারাবাহিক নাটক 'সাত ভাই চম্পা'র ছোট রানী। নতুন বলে ভালো-মন্দের তফাত খুব একটা বুঝেন না। তবে প্রতিদিনই নিজেকে পরিবর্তন করছেন। পায়েল বলেন, 'আগে খুব দ্রম্নত সংলাপ বলতাম। যেটা অনেকেই বুঝতো না। এখন ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করছি। বুঝেশুনে সংলাপ বলতে চাইছি। চিত্রনাট্যের প্রিন্ট কপি আগেই হাতে নিয়ে নিই। দর্শকও চায় আমি ভালো কাজ করি। একটা সময় অভিনয় করা ছিল আমার শখ। এখন এটাই পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, পায়েল ভালো একটা কাজ করবে। আর দর্শকের সঙ্গে তো প্রতারণা করা যাবে না।'

সাভারের আশুলিয়াতে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী স্কুল জীবন থেকেই নাচ-গান-অভিনয়ে পটিয়সী। উত্তরা ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়া অবস্থাতেই যেকোনো অনুষ্ঠানে পায়েলকে নাচ-গান-অভিনয় ও আবৃত্তিতে পাওয়া যেতো। মিডিয়ার ঝলমলে দুনিয়াতেও তিনি সেই ছোঁয়াটা রেখেছেন। চেষ্টা করেছেন সব সেক্টরেই কাজ করতে। হাল সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রী বলেন, 'মিডিয়াতে আসার আগেই পরিকল্পনা ছিল, আমি সব সেক্টরেই কাজ করব। সেটা মিউজিক ভিডিও হোক, বিজ্ঞাপন চিত্র হোক কিংবা নাটক-সিনেমা। আমি আমার পরিকল্পনামতো কাজ করেছি। ইচ্ছে ছিল বড় পর্দায় নিজেকে দেখার। 'ইন্দুবালা' দিয়ে সে ইচ্ছেটাও পূরণ হয়েছে। এটাই আমার তৃপ্তি। আবার আমির্ যাম্পেও হেঁটেছি। অবসরে টিকটক ভিডিও বানাই। পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চলছে।'

বর্তমানে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন কেয়া পায়েল। পড়াশোনায় ফাঁকিবাজি না করেই নিয়মিত কাজ করতে চান ট্রেন্ডি এই অভিনেত্রী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে