বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াল মিয়ানমার জান্তা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুন ২০২৫, ১৫:০৬
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াল মিয়ানমার জান্তা
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে মার্চের শেষ দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পুনর্গঠন ও ত্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার জানায়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি থাকবে। এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

1

মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল মিয়ানমার ইন্টারন্যাশনাল টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া লোকজনদের পুনর্বাসন এবং ভেঙে পড়া অবকাঠামো মেরামতের কাজ এখনও চলছে। এ কারণেই বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের কয়েক দিন পর ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য এপ্রিলের শুরুতেই ৫ মে পর্যন্ত প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।

বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও একই ধরনের পদক্ষেপ অনুসরণ করে। পরে ৬ মে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়। রবিবার তৃতীয় দফায় বাড়ানো হলো যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। বিরোধী পক্ষগুলোও তাদের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ জুনের শেষ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

মার্চের শেষ দিকে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।

তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও মিয়ানমারের কিছু অঞ্চলে সামরিক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধঅন জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক মাস পরেই তৎপর হয়ে ওঠে মিয়ানমারজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তাদের এবং বর্তমানে মিয়ানমারের বিশাল অঞ্চল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে।

এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ব্যাপক শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৩৫০ জন। আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৮০ জন। এখনও নিখোঁজ আছেন শত শত মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে