নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের কাছ থেকে গোপনে জ্বালানি তেল আমদানির অভিযোগে ভারতের আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
যদিও ইরান থেকে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন এই গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ বলে, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনে জড়িত নই, কিংবা ইরানি পণ্যের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রতিষ্ঠানটি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু ট্যাংকার গালফ অঞ্চল থেকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আদানির মুন্দ্রা বন্দরে যাতায়াত করেছে, যা নিষেধাজ্ঞা এড়ানো জাহাজ চলাচলের চিহ্ন বহন করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে সরবরাহকৃত কিছু এলপিজি ট্যাংকারের কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
তবে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের বন্দরে ইরান থেকে কোনো কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয় না এবং এলপিজির বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন, এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিধান অনুসারেই পরিচালিত হয়। এলপিজি ব্যবসা আদানি এন্টারপ্রাইজের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আদানি গ্রুপের দাবি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে যে চালানের কথা বলেছে, তা ছিল একটি ‘সাধারণ বাণিজ্যিক লেনদেন’ এবং তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক পার্টনারদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে ওমানের সোহার বন্দরকে উৎস বন্দর হিসেবে দেখানো হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র আদানি ও তার ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি আদায়ের অভিযোগে ও মার্কিন বিনিয়োগকারীদের ভুল পথে পরিচালনার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। তখনো আদানি গ্রুপ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিল, তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি ও মার্কিন বিচার বিভাগ কর্তৃক তদন্তের সিদ্ধান্ত আদানির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে দিলো।