ফিলিস্তিনের গাজায় দুটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৪০ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। দুটি ত্রাণ কেন্দ্রই পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল–সমর্থিত বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। এ নিয়ে বিতর্কিত সংস্থাটির ত্রাণ নিতে গিয়ে দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগ ‘সিভিল ডিফেন্সের’ বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বুধবার যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে ৩১ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ২০০ জন। মধ্য গাজার ‘নেতজারিম করিডর’ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সাহায্য কেন্দ্র থেকে খাবার নিতে যাওয়ার সময় কয়েক হাজার নাগরিকের ওপর ইসরাইলি বাহিনী ট্যাংক ও ড্রোন হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমরা শহিদ অন্তত ৩১ জনের লাশ এবং প্রায় ২০০ জন আহতকে উদ্ধার করেছি।’
মাহমুদ বাসাল বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল–সমর্থিত খাবার বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হতে শুরু করেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। কয়েক দফা ইসরাইলি ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৫টায় গোলাবর্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে ড্রোন ব্যবহার করেও বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকায় ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে আলজাজিরা জানিয়েছে। নাসের হাসপাতালের বরাত দিয়ে এ কথা জানানো হয়।
গুলিবর্ষণে কথা স্বীকার করে বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এতে বলা হয়, নেতজারিম করিডর এলাকায় রাতে সেনারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছে।
ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে বিতর্কিত প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে মুসলিম দেশগুলোর নিজেদের কিছু ভূমি ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর কাছে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রিত ভূমির চেয়ে ৬৪৪ গুণ বেশি জমি রয়েছে।