মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (১৮ জুন) দুই দেশের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্য দিয়ে সংঘাত ষষ্ঠ দিনে গড়ালো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভোর শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টাতেই দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
এর প্রতিক্রিয়ায় তেহরানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ইরানি সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালাতে যাচ্ছে তেল আবিব। হামলার আগে বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েল দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া তেহরানের নিকটে খোজির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রেও আঘাত হানা হয়, যেখানে গত অক্টোবরেও ইসরায়েলি হামলা হয়েছিল।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দ্রুত অবসান চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। আমরা তাকে এখনই সরিয়ে দেব না (হত্যা করা), তবে আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।
এই স্ট্যাটাস দেওয়ার তিন মিনিট পার না হতেই দু শব্দের আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। ইরানের প্রতি ইঙ্গিত করা ওই পোস্টে ইংরেজি বড় হরফে লেখা ছিল, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!’
ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, চলমান সংঘাতে আগ্রাসী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত হয়ে আছে হোয়াইট হাউজ।
পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে সম্ভাব্য কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। এরমধ্যে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে হামলা চালানোর কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা। একইদিন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেছেন তিনি।
চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের ওপর বৈঠক আয়োজিত হলেও, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিস্তারিত জানানো হয়নি।