ওয়াশিংটন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস এ্যাক্টিভিস্ট (এইচআরএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানজুড়ে কমপক্ষে ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ১,৩২৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৩৯ জন বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
১২৬ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, যাদের মধ্যে রয়েছে IRGC ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। বাকি নিহতদের পরিচয় এখনো যাচাই চলছে।
এই সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা স্থানীয় সাংবাদিকতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করে। তারা অতীতেও ২০২২ সালের মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে হওয়া বিক্ষোভে বিশদভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশ করেছিল, যার সঠিকতা পরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছিল।
তবে ইরান সরকার এখনো নিয়মিতভাবে হালনাগাদ মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে না। তাদের সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী (সোমবার পর্যন্ত) নিহত ২২৪ জন, আহত ১ হাজার ২৭৭ জন
এই সরকারি তথ্যের সাথে এইচআরএ-র প্রতিবেদনের বিস্তর ফারাক রয়েছে, যা তথ্য গোপন বা সেন্সরশিপের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।
এই মৃত্যুর সংখ্যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধ বা বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর।