মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রথম দফার পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি বিষয়ে কাতারে অনুষ্ঠিত আলোচনায় কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে জড়িত দুই ফিলিস্তিনি সূত্র।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫৭,৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা ১,৩৫,০০০-এরও বেশি। চলমান গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন থাকলেও ইসরায়েল আবারও সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাধিক দফার চেষ্টার পরও প্রধান কিছু মতপার্থক্য এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কিছু সংশোধন এনে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন গাজায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে হত্যা করছে। যার ফলে সেখানে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এ সপ্তাহেই হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ভালো সম্ভাবনা আছে। আমি মনে করি গাজা নিয়ে আমরা একটা চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, ‘কাতারে পাঠানো ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলকে হামাসের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের আলোচকদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি হতে হবে এমন শর্তে, যা ইসরায়েলের জন্য গ্রহণযোগ্য।’