জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এজন্য তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে জাতীয় দুটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী অনুপস্থিতিতে বিচার প্রক্রিয়া চলবে।
এই মামলার অপর একজন আসামি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ইতোমধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
আগামী ২৪ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে, ১ জুন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল ও চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
১২ মে তদন্ত সংস্থা আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে শেখ হাসিনার নাম সরাসরি ‘জুলাই গণহত্যা’র নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকার পরিকল্পিতভাবে গুলি চালায় এবং হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনাসহ উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে চায় ট্রাইব্যুনাল।
গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আরও দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
বর্তমানে শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকায় আদালতের নির্দেশে তাদের হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ।