রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিলেন বিচারক
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংবাদ পরিষেবা ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছেন মার্কিন এক বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প বেআইনিভাবে ভয়েস অব আমেরিকার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। এর আগে গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ জনেরও বেশি কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভয়েস অব আমেরিকার কার্যক্রম বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক। মার্কিন ফেডারেল ওই বিচারক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেআইনিভাবে ভয়েস অব আমেরিকার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস-গঠিত এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি ৮৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সংবাদ প্রচার করে আসছে। মঙ্গলবার দেওয়া রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক রয়স ল্যাম্বার্থ নির্দেশ দিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেন ভয়েস অব আমেরিকার পূর্বের সক্ষমতা পুনরায় ফিরিয়ে আন্তেবাজেট কাটছাঁট এবং ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের আগে যেভাবে সংবাদমাধ্যমটি কাজ করছিল। এর আগে গত মার্চে ভয়েস অব আমেরিকা আদালতে জানায়, তাদের ১৩০০ জন কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি ছিল, এই সংস্থা "বামপন্থি পক্ষপাতিত্ব" করে এবং যথেষ্ট "আমেরিকানপন্থি" নয়। তবে ভয়েস অব আমেরিকার আইনজীবীরা বলেন, তারা সত্যনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং বস্তুগত সংবাদ পরিবেশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিচারক ল্যাম্বার্থ আরও দুটি সংবাদমাধ্যম ্ত রেডিও ফ্রি এশিয়া এবং মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্কস ্ত যারা একইভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চলে, সেগুলোর সক্ষমতাও ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি এবং ওপেন টেকনোলজি ফান্ডুএর ক্ষেত্রে একই রকম আবেদন নাকচ করেছেন বিচারক।
২৩ এপ্রিল, ২০২৫

দুই সংবাদ সংস্থার অর্থায়ন বন্ধ / ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে
ভয়েস অব আমেরিকার প্রায় ১৩০০ কর্মীকে শনিবার ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুটি মার্কিন সংবাদ সংস্থার অর্থায়নও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রায়ত্ত মূল গণমাধ্যম ও আরও ছয়টি ফেডারেল সংস্থার বাজেট কমানোর নির্দেশ দেওয়ার একদিন পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। খবর রয়টার্সের। ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিৎজ জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহকারীসহ ১ হাজার ৩০০ কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ফলে ৫০টি ভাষায় সংবাদ প্রচারকারী এই গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। লিঙ্কডইনে দেওয়া এক পোস্টে মাইকেল আব্রামোভিৎজ বলেন, ৮৩ বছরে এই প্রথম ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা ভীষণ দুঃখজনক। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে এই গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভয়েস অব আমেরিকার মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গেস্নাবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম) পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর জন্য সম্প্রচারকারী রেডিও ফ্রি ইউরোপ এবং রেডিও লিবার্টির অনুদানও বাতিল করা হয়েছে। এর আওতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে চীন ও উত্তর কোরিয়ার জন্য সম্প্রচারকারী রেডিও ফ্রি এশিয়ার অনুদানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশাবলী এমন একটি সংস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে যা কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদের একটি বিরল উৎস হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৪২ সালে নাৎসি প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) এখন প্রতি সপ্তাহে ৩৬ কোটি মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। সংস্থাটির সর্বশেষ কংগ্রেস রিপোর্ট অনুসারে, ইউএস এজেন্সি ফর গেস্নাবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিএম) অধীনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী কাজ করেন এবং ২০২৪ সালে তাদের বাজেট ছিল ৮৮৬ মিলিয়ন ডলার। সংস্থাটির সিওল বু্যরোর প্রধান উইলিয়াম গ্যালো রোববার জানান, তিনি প্রতিষ্ঠানটির সব সিস্টেম ও অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট হয়েছেন। বস্নম্নস্কাইয়ে করা এক পোস্টে উইলিয়াম গ্যালো বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আমি সবসময় সত্যটাই বলতে চেয়েছি। যদি এটাকে কেউ হুমকি মনে করে তবে সেটাই হোক।
১৬ মার্চ, ২০২৫

উপরে